1885 খ্রিস্টাব্দে 28-30 ডিসেম্বর বোম্বাইয়ের গোকুল দাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজের হলে কলকাতার বিশিষ্ট আইনজীবী উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি সভাপতিত্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন বসে । এই অধিবেশনে 72 জন প্রতিনিধি যোগ দেন। 1886 খ্রিস্টাব্দে এর দ্বিতীয় অধিবেশনে বসে কলকাতায় । 1885 থেকে 1975 পর্যন্ত সময়কে বলা হয় নরমপন্থী যুগ । এরপর চরমপন্থীদের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয় । 1918 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1947 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে বলে গান্ধীর যুগ ।
ভারতের জাতীয় কংগ্রেস 1885 থেকে 1947 সময়কাল
1906 খ্রিস্টাব্দে কলকাতা কংগ্রেস অধিবেশনে প্রথম ' স্বরাজ ' কথাটি ব্যবহার করা হয় ।
কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতাবৃন্দঃ -
কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দাদাভাই নওরোজি, কে.টি তেলাং, ফিরোজশাহ মেহতা, এ.এম ধরমজি, বদরুদ্দীন তায়েবজি, উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি, আনন্দ চাল্লু, আলপেড ওয়েব, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, রহমতউল্লাহ সাহানি, শ্রীশঙ্করণ আইয়ার, আনন্দমোহন বসু, দিনশা ওয়াচা, রাজবিহারী ঘোষ, লালমোহন ঘোষ, হেনরি কটন প্রমূখ ।
কংগ্রেসের চরমপন্থী নেতাবৃন্দঃ -
কংগ্রেসের চরমপন্থী নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কে. কে মিত্র, ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়, সতীশ চন্দ্র মুখার্জী, পুলিনবিহারী দাস, বিপিনচন্দ্র পাল, রাজবিহারী বসু, অপূর্ব কুমার ঘোষ, রজনীকান্ত সেন, অশ্বিনী কুমার দত্ত, বিষ্ণুশাস্ত্রী চিপলঙ্কার, বালগঙ্গাধর তিলক, লালা লাজপত রায়, অরবিন্দ ঘোষ, অজিত সিং, চিদাম্বরম পিল্লাই, টি.প্রকাশন, এম. কৃষ্ণারাও প্রমুখ ।
বালগঙ্গাধর তিলক (1856-1920)
ইনি লোকমান্য নামে পরিচিত । সাংবাদিক ভ্যালেন্টাইন চিরল তিলক কে বলেছেন ভারতের অস্থিরতার জনক । 1894 খ্রিস্টাব্দে তিনি গণপতি উৎসব, 1895 খ্রিস্টাব্দে শিবাজী উৎসব, 1896 খিষ্টাব্দে নৌ ক্যামপেন চালু করেন মহারাষ্ট্রে, 1897 খ্রিস্টাব্দে তাকে 18 মাস বন্দি করে রাখা হয়। 1908 খ্রিস্টাব্দে তাকে 6 বছর মান্দালয় এর জেলে পাঠানো হয় ।
বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলনঃ
1905 খ্রিষ্টাব্দের 19 এ জুলাই লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনার ঘোষণা করেন ও 16 অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা হয় । ঢাকা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ, পার্বত্য ত্রিপুরা, মালদহ জেলা ও দার্জিলিং নিয়ে গঠিত হয় পূর্ববঙ্গ ও আসাম' প্রদেশ । অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত হয় বাংলা প্রদেশ । পূর্বের রাজধানী হয় ঢাকা ও পশ্চিমে রাজধানী হয় কলকাতা । 1930 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের জন্য রিজলি পরিকল্পনা প্রকাশিত হয় কিন্তু জনগণের বিরোধিতায় এটি কার্যকর হয়নি ।
1905 খ্রিস্টাব্দের 6 জুলাই কৃষ্ণ কুমার মিত্র সঞ্জীবনী পত্রিকায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে লেখেন ' বঙ্গের সর্বনাশ ' শিরোনামে । 1লা অক্টোবর বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সারাদেশে হরতাল পালিত হয় । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 16 ই অক্টোবর রাখি বন্ধন উৎসব করেন ও 'বাংলার মাটি, বাংলার জল, গানটির লেখেন । রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী এই দিনটিকে অরন্ধন পালনের ডাক দেন । আনন্দমোহন বসুর সভাপতিত্বে উভয় বাংলায় ঐক্যের প্রতীক হিসাবে আপার সার্কুলার রোডে মিলন মন্দির বা ফেডারেশন হল স্থাপিত হয় । ্যওই দিনে বাগবাজারে পশুপতি বসুর বাড়িতে জাতীয় ধনভান্ডার প্রতিষ্ঠা করা হয় ।
1905 খ্রিস্টাব্দে 13 ই জুলাই সঞ্জীবনী পত্রিকা বয়কটের ডাক দেওয়া হয় । এবং কুড়ি জুলাই এই পত্রিকাতে বয়কট এর একটি প্রতিজ্ঞাপত্র প্রকাশিত হয় । 16 জুলাই খুলনার বাগেরহাট জনসভায় প্রথম বয়কট এর প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ।
স্বদেশী আন্দোলন ছিল বয়কট এর পরিপূরক । আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বেঙ্গল কেমিক্যাল স্থাপন করেন । নীলরতন সরকার জাতীয় সাবান কারখানা স্থাপন করেন । কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ । জামসেদজী টাটা জামশেদপুরে লৌহ ইস্পাত কারখানা স্থাপন করেন । সরলা দেবী চৌধুরানী " লক্ষীর ভান্ডার " স্থাপন করেন । মাদ্রাজে চিদাম্বরম প্লায় স্বদেশী জাহাজ কারখানা স্থাপন করেন । বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন থেকে ছাত্রদলকে সরিয়ে আনার জন্য কার্লাইল সার্কুলার 10 অক্টোবর 1905, পেডলার সার্কুলার 21 অক্টোবর 1905 জারি করা হয় । লিয়ন সার্কুলার 16 অক্টোবর 1905, পেটলার সার্কুলার 21 অক্টোবর 1905 জারি করা হয় । এইসব সার্কুলার এর বিরুদ্ধে ছাত্রনেতা শচীন্দ্র নাথ বসু কলকাতায় অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন । 1906 খ্রিস্টাব্দের 11 ই মার্চ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সভাপতিত্বে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয় 92 জন সদস্য নিয়ে । 14 আগস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ স্থাপিত হয় ও কারিগরি শিক্ষার জন্য বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন গঠিত হয় । 1911 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করেন লর্ড হার্ডিঞ্জ । বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রধান শ্লোগান ছিল ' বন্দেমাতারাম '। রবীন্দ্রনাথ আত্মশক্তির ধারণা দেন । এইসময় বিখ্যাত চারণ কবি ছিলেন মুকুন্দ দাস ।
সুরাট বিভাজনঃ
1907 খ্রিস্টাব্দে গুজরাটের সুরাট কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । এই অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার নরমপন্থী রাজবিহারী ঘোষ । অপরদিকে চরমপন্থীরা লালা লাজপত রায় কে কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত করেন । 27 ডিসেম্বর অধিবেশন স্থগিত জন্য তিলক চেষ্টা করলে সংবর্ধনা কমিটির সভাপতি মদনমোহন মালব্য সেটি বাতিল করে দেন । অধিবেশনে মারাঠি চপ্পল ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে ও সুরেন্দ্রনাথের গায়ে লাগলে অধিবেশন ভেস্তে যায় । এর ফলে কংগ্রেসের নরমপন্থী ও চরমপন্থীর ভাগ হয়ে যান । কংগ্রেসের এই অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল নাগপুরে কিন্তু ফিরোজ শাহ মেহতা সুরাটে নিয়ে যান । এ অধিবেশনে ফিরোজ শাহ মেহতার গায়েও জুতো লাগে । এরপর 1916 খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের কোন অধিবেশনে চরমপন্থী ও নরমপন্থী মিলন ঘটে ।
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বা ভারতসভাঃ
1876 সালের জুলাই মাসে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংস্থা কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত করেন সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি এবং আনন্দমোহন বসু । আনন্দমোহন বসু ছিলেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সভাপতি । ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন এর মুখপাত্র ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ সম্পাদিত দৈনিক ' দি বেঙ্গলি পত্রিকা ' । এই সংস্থা প্রথম সারা ভারত রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার বয়স 21 থেকে কমিয়ে 19 বছর করার প্রতিবাদে এবং স্ট্যাটুটরি সিভিল সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেখানে ভারতীয়দের বেশি করে সুযোগ সুবিধা থাকবে উচ্চ প্রশাসনিক পদ অধিকার করার । ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ইলবার্ট বিল এর সমর্থনে আন্দোলন গড়ে তোলে । শক্তিশালী জনমত গড়ে তোলা সর্বভারতীয় রাজনৈতিক স্বার্থ কে কেন্দ্র করে ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করা, হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে তোলা এবং রাজনৈতিক আন্দোলনের সর্বপ্রথম জনগণকে শামিল করাই ছিল এই সংস্থার লক্ষ্য ও আদর্শ । এই সংস্থা যাতে জনগণের সংস্থায় পরিণত হয় তার জন্য বাৎসরিক চাঁদার হার মাত্র পাঁচ টাকা ধার্য করা হয় । জাতীয় তহবিল গঠনের দেশে 1883 সালে অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কনফারেন্স বা সারা ভারত জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । কলকাতায় সুরেন্দ্রনাথ কে গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করার প্রতিবাদে দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় 1885 সালে পুনরায় কলকাতায় । 1886 সালে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যায় বা মিলিত হয় সুরেন্দ্রনাথ কংগ্রেসের যোগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ।
হোমরুল আন্দোলনঃ
আয়ারল্যান্ডের রেমন্স এর হোমরুল লীগ এর অনুকরণে ভারতে হোমরুল আন্দোলন শুরু হয় । 1916 খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীমতি অ্যানি বেসান্ত হোমরুল লীগ স্থাপন করেন । তার সঙ্গে ছিলেন জর্জ অরানডেল । এন.সি কেলকার কে সম্পাদক নিয়োগ করে তিলক ইন্ডিয়ান হোমরুল লীগ স্থাপন করেন । জি.এস খারার্দে, বি.এস মুঞ্জে, আর.পি কারানধিকর এর সদস্য হন । তীলক মহারাষ্ট্র, বোম্বাই, কর্ণাটক, সেন্ট্রাল প্রভিন্স এবং দুটি শাখা নিয়ে মোট ছয়টি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন । 1916 খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের কোন অধিবেশনে তিলক ও অ্যানি বেসান্ত কে সংবর্ধনা দেয়া হয় । কংগ্রেস সভাপতি অম্বিকাচরণ মজুমদার তাঁদের উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন । কংগ্রেস ও হোমরুল লীগ এক সঙ্গে মিশে যায় মদনমোহন মালব্য এর বিরোধিতা সত্ত্বেও ।
কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতে হোমরুল আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে । নিউইয়র্ক ও সানফ্রান্সিস্কো তে হোমরুল লীগ প্রতিষ্ঠা হয় । লালা লাজপত রায়, এন.এইচ এবং কে.ডি শাস্ত্রী আমেরিকা পরিদর্শনে যান । 1919 খ্রিস্টাব্দে তিলক 86 দিন আমেরিকায় বিভিন্ন হোমরুল লীগ শাখাতে পরিভ্রমন করেন । তিনি আমেরিকার 20 টি প্রদেশ এ যান ও 25 টি সভা করেন । 1917 খ্রিস্টাব্দে অ্যানি বেসান্ত কে মাদ্রাজ সরকার গ্রেপ্তার করে । তার প্রতি সম্মানার্থে 1917 খ্রিস্টাব্দে কলকাতা কংগ্রেসে তাকে সভাপতি নির্বাচন করা হয় ।
জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনের তথ্য সংক্রান্ত তালিকাঃ
(1) সালঃ - 1985
স্থানঃ - মুম্বাই
সভাপতিঃ - উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি
মন্তব্যঃ - 72 জন প্রতিনিধি
(2) সালঃ - 1886
স্থানঃ - কলকাতা
সভাপতিঃ - দাদাভাই নওরোজি
মন্তব্যঃ - 436 জন প্রতিনিধি
(3) সালঃ - 1887
স্থানঃ - মাদ্রাজ
সভাপতিঃ - বদরুদ্দীন তায়েবজি
মন্তব্যঃ - প্রথম মুসলিম সভাপতি
(4) সালঃ - 1888
স্থানঃ - এলাহাবাদ
সভাপতিঃ - জর্জ ইয়ুল
মন্তব্যঃ - প্রথম ইংরেজ সভাপতি
(5) সালঃ - 1889
স্থানঃ - মুম্বাই
সভাপতিঃ - স্যার উইলিয়াম ওয়েডারবার্ণ
মন্তব্যঃ - 1889 জন প্রতিনিধি
(6) সালঃ - 1890
স্থানঃ - কলকাতা
সভাপতিঃ - ফিরোজ শাহ মেহতা
মন্তব্যঃ -
(7) সালঃ -1892
স্থানঃ - এলাহাবাদ
সভাপতিঃ - উমেশ ব্যানার্জি
মন্তব্যঃ -
(8) সালঃ - 1893
স্থানঃ - লাহোর
সভাপতিঃ - দাদাভাই নওরোজি
মন্তব্যঃ -
(9) সালঃ -1894
স্থানঃ - মাদ্রাজ
সভাপতিঃ - আলফ্রেড ওয়েব
মন্তব্যঃ -
(10) সালঃ - 1895
স্থানঃ - পুনা
সভাপতিঃ - সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি
মন্তব্যঃ -
(11) সালঃ - 1896
স্থানঃ - কলকাতা
সভাপতিঃ - রহিমতুল্লা সাহানি
মন্তব্যঃ -
(12) সালঃ - 1897
স্থানঃ - অমরাবতী
সভাপতিঃ - এম. শঙ্করণ নায়ার
মন্তব্যঃ -
(13) সালঃ - 1898
স্থানঃ - মাদ্রাজ
সভাপতিঃ - আনন্দমোহন বসু
মন্তব্যঃ -
(14) সালঃ - 1899
স্থানঃ - লখনো
সভাপতিঃ - রমেশ চন্দ্র দত্ত
মন্তব্যঃ -
(15) সালঃ - 1900
স্থানঃ - লাহোর
সভাপতিঃ - এন. জি. চন্দ্রভারকর
মন্তব্যঃ -
(16) সালঃ - 1901
স্থানঃ - কলকাতা
সভাপতিঃ - দিনশাওয়াচা
মন্তব্যঃ -
(17) সালঃ - 1902
স্থানঃ - আমেদাবাদ
সভাপতিঃ - সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি
মন্তব্যঃ -
(18) সালঃ - 1903
স্থানঃ - মাদ্রাজ
সভাপতিঃ - লালমোহন ঘোষ
মন্তব্যঃ -
(19) সালঃ - 1904
স্থানঃ - মুম্বাই
সভাপতিঃ - স্যার হেনরি কটন
মন্তব্যঃ -
(20) সালঃ - 1905
স্থানঃ - বেনারস
সভাপতিঃ - গোখলে
মন্তব্যঃ -
(21) সালঃ - 1906
স্থানঃ - কলকাতা
সভাপতিঃ - দাদাভাই নওরোজি
মন্তব্যঃ -
(22) সালঃ - 1907
স্থানঃ - সুরাট
সভাপতিঃ - রাসবিহারী ঘোষ
মন্তব্যঃ -
(23) সালঃ - 1908
স্থানঃ - মাদ্রাজ
সভাপতিঃ - রাসবিহারী ঘোষ
মন্তব্যঃ -
(24) সালঃ - 1909
স্থানঃ - লাহোর
সভাপতিঃ - মদনমোহন মালব্য
মন্তব্যঃ -
(25) সালঃ - 1910
স্থানঃ - এলাহাবাদ
সভাপতিঃ - স্যার উইলিয়াম ওয়েডারবার্ণ
মন্তব্যঃ -
(26) সালঃ - 1911
স্থানঃ - কলকাতা
সভাপতিঃ - বিষাণ নারায়ণ ধর
মন্তব্যঃ -
(27) সালঃ - 1912
স্থানঃ - পাটনা
সভাপতিঃ - আর. এন. মাধলকর
মন্তব্যঃ -
(28) সালঃ - 1913
স্থানঃ - করাচি
সভাপতিঃ - সঈদ মহম্মদ বাহাদুর
মন্তব্যঃ -
(29) সালঃ - 1914
স্থানঃ - মাদ্রাজ
সভাপতিঃ - ভূপেন্দ্র নাথ বসু
মন্তব্যঃ -
(30) সালঃ - 1915
স্থানঃ - মুম্বাই
সভাপতিঃ - স্যার এস.পি.সিনহা
মন্তব্যঃ -
(31) সালঃ - 1916
স্থানঃ - লখনো
সভাপতিঃ - এ.সি.মজুমদার
মন্তব্যঃ - নরমপন্থী ও চরমপন্থী মিলন
(32) সালঃ - 1917
স্থানঃ - কলকাতা
সভাপতিঃ - অ্যানি বেসান্ত
মন্তব্যঃ - প্রথম মহিলা সভাপতি
(33) সালঃ - 1918
স্থানঃ - মুম্বাই (বিশেষ)
সভাপতিঃ - সঈদ হাসান ইমাম
মন্তব্যঃ - ইন্ডিয়ান ন্যাশন্যাল লিবারল ফেডারেশন গঠন হয় সুরেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে ।
(34) সালঃ - 1918
স্থানঃ - দিল্লি
সভাপতিঃ - মদনমোহন মালব্য
মন্তব্যঃ - সুরেন্দ্রনাথের কংগ্রেস ত্যাগ
(35) সালঃ - 1919
স্থানঃ - অমৃতসর
সভাপতিঃ - মতিলাল নেহেরু
মন্তব্যঃ -
(36) সালঃ - 1920
স্থানঃ - কলকাতা ( বিশেষ)
সভাপতিঃ - লালা লাজপত রায়
মন্তব্যঃ -
(37) সালঃ - 1920
স্থানঃ - নাগপুর
সভাপতিঃ - বিজয় রাঘব চাবিয়ার
মন্তব্যঃ - কংগ্রেসের সংবিধান পরিবর্তন
(38) সালঃ - 1921
স্থানঃ - আমেদাবাদ
সভাপতিঃ - হাকিম আজমল খান ( অস্থায়ী সভাপতি)
মন্তব্যঃ - সভাপতি সি.আর.দাস জেলে
(39) সালঃ - 1922
স্থানঃ - গয়া
সভাপতিঃ - সি.আর. দাশ
মন্তব্যঃ - স্বরাজ দল গঠন
(40) সালঃ - 1923
স্থানঃ - দিল্লি (বিশেষ)
সভাপতিঃ - আবুল কালাম আজাদ
মন্তব্যঃ - সবচেয়ে কম বয়সের সভাপতি
(41) সালঃ - 1923
স্থানঃ - কাঁকিনাড়া
সভাপতিঃ - মৌলানা মহম্মদ আলি
মন্তব্যঃ -
(42) সালঃ - 1924
স্থানঃ - বেলগাঁও
সভাপতিঃ - গান্ধিজি
মন্তব্যঃ -
(43) সালঃ - 1925
স্থানঃ - কানপুর
সভাপতিঃ - সরোজিনী নাইডু
মন্তব্যঃ - প্রথম ভারতীয় মহিলা
(44) সালঃ - 1926
স্থানঃ - গৌহাটি
সভাপতিঃ - শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার
মন্তব্যঃ -
(45) সালঃ - 1927
স্থানঃ - মাদ্রাজ
সভাপতিঃ - এম.এ আনসারি
মন্তব্যঃ - জহরলাল নেহেরুর চাপে স্বাধীনতার প্রস্তাব পাশ
(46) সালঃ - 1928
স্থানঃ - কলকাতা
সভাপতিঃ - মতিলাল নেহেরু
মন্তব্যঃ - প্রথম সারা ভারত যুব কংগ্রেস
(47) সালঃ - 1929
স্থানঃ - লাহোর
সভাপতিঃ - জহরলাল নেহরু
মন্তব্যঃ - পূর্ণস্বরাজ দাবি
(48) সালঃ - 1930
স্থানঃ - লাহোর
সভাপতিঃ - জহরলাল নেহরু
মন্তব্যঃ -
(49) সালঃ - 1931
স্থানঃ - করাচি
সভাপতিঃ - বল্লভভাই প্যাটেল
মন্তব্যঃ - প্রথম মৌলিক অধিকার, জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি প্রস্তাব
(50) সালঃ - 1932
স্থানঃ - দিল্লি
সভাপতিঃ - আর.ডি অমৃতলাল
মন্তব্যঃ -
(51) সালঃ - 1933
স্থানঃ - কলকাতা
সভাপতিঃ - মিসেস নেলি সেনগুপ্ত
মন্তব্যঃ -
(52) সালঃ - 1934
স্থানঃ - মুম্বাই
সভাপতিঃ - রমেশ প্রসাদ
মন্তব্যঃ - কংগ্রেস সোসালিস্ট দল গঠন
(53) সালঃ - 1936
স্থানঃ - লখনো
সভাপতিঃ - জহরলাল নেহরু
মন্তব্যঃ -
(54) সালঃ - 1937
স্থানঃ - ফইজপুর
সভাপতিঃ - জহরলাল নেহরু
মন্তব্যঃ - প্রথম গ্রামে অধিবেশন
(55) সালঃ - 1938
স্থানঃ - হরিপুরা
সভাপতিঃ - সুভাষচন্দ্র বসু
মন্তব্যঃ -
(56) সালঃ - 1939
স্থানঃ - ত্রিপুরী
সভাপতিঃ - সুভাষচন্দ্র বসু
মন্তব্যঃ - নেতাজির পদত্যাগে রাজেন্দ্র প্রসাদ সভাপতি হন, প্রথম কংগ্রেস নির্বাচন, ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন
(57) সালঃ - 1940
স্থানঃ - রামগড়
সভাপতিঃ - আবুল কালাম আজাদ
মন্তব্যঃ -
(58) সালঃ - 1941 - 1945
স্থানঃ - রামগড়
সভাপতিঃ - আবুল কালাম আজাদ
মন্তব্যঃ -
(59) সালঃ - 1946
স্থানঃ - মিরাট
সভাপতিঃ - জে.বি কৃপালনি
মন্তব্যঃ - ভারতের প্রথম স্বাধীনতা পর্যন্ত সভাপতি
(59) সালঃ - 1947
স্থানঃ - দিল্লী
সভাপতিঃ - রাজেন্দ্র প্রসাদ
মন্তব্যঃ -
লেবেল