মোগল আমলের ইতিহাসে রচনার জন্য প্রচুর উপাদান পাওয়া যায় । এই উপাদানগুলিকে মোটামুটি চারটি ভাগে বিভক্ত করা যায় । (1) সাহিত্য (2) সরকারি নথিপত্র ও চিঠিপত্র (3) ইউরোপীয় ভ্রমণকারীদের বিবরণ ও বাণিজ্যকুঠির নথিপত্র এবং (4) মুদ্রা ও শিল্প নিদর্শন ।
মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের উপাদান (1526 - 1707)
(1) সাহিত্যঃ সাহিত্য এই যুগের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । বিভিন্ন মোগল বাদশাহ ও রাজপরিবারের ব্যাক্তিদের রচিত স্মৃতিকথা আত্মজীবনী থেকে ইতিহাসের অনেক তথ্যাদি জানা যায় । মোগল সম্রাট বাবর ও জাহাঙ্গীর এর আত্মজীবনী -- ' তুজুক ই বাবরি ' 'তুজুক ই জাহাঙ্গীরী' এবং বাবুর কন্যা গুলবদন বেগম এর স্মৃতিকথা " হুমায়ুননামা " মুঘল ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। হুমায়ুনের ঘনিষ্ঠ সহচর জওহর রচিত " তাজকিয়াৎ- উল- ওয়াকিয়ৎ " নামক গ্রন্থ থেকে হুমায়ুনের জীবন সংগ্রাম ও তার জীবনের নানা খুঁটিনাটি বিবরণ পাওয়া যায় । আবুল ফজল রচিত ' আইন ই আকবরী ' ও ' আকবরনামা ' এবং বদাউনি রচিত ' মুন্তাখাব-উল-তরিখ ' ও খোজা নিজামউদ্দিন আহমেদ রচিত ' তবকৎ-ই-আকবরি ' ও ফৈজির ' আকবর-নামা ' আকবরের রাজত্বকাল সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে । আব্দুল হামিদ লাহোরী রচিত ' পাদশাহা-নামা ' ও মির্জা মোঃ কাজিম রচিত ' আলমগীর-নামা ' গ্রন্থে সম্রাট শাহজাহান ও ওরঙ্গজেব এর শাসনকালে প্রথম দিকের বিবরণ পাওয়া যায় । কাফি খাঁ রচিত ' মুন্তাখাব-উল-লুবাব' গ্রন্থ থেকে ওরঙ্গজেব এর রাজত্বকালে তথ্যাদি জানা যায় ।
গুজরাট , রাজস্থান , পাঞ্জাব , বাংলা ও অন্যান্য অঞ্চলের প্রাদেশিক গ্রন্থ গুলি ও এই যুগের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে স্বীকৃতি । মোগল যুগে মারাঠাদের ইতিহাস রচনার অনেক মূল্যবান উপাদান আছে এর মধ্যে শিবাজীর সমসাময়িক জৈনিক ব্যক্তি রচিত ' সভাসদ বার ' অতি মূল্যবান । রাজপুত কবিদের গাথা, পৃথ্বীরাজ রাসো, মোহাম্মদ জায়সী রচিত ' পদ্মাবৎ ' শিখদের ' গ্রন্থসাহেব ' ও গুরু গোবিন্দ সিং এর রচনাবলী এবং বাংলার ইতিহাসের জন্য সলিমুল্লাহ রচিত ' তারিখ-ই-বাংলা ' গোলাম হোসেন রচিত ' রিয়াজ উল সালাতিন ' ও সৈয়দ আহমদ তাবাতাবাই রচিত ' তারিখ-ই-মহম্মদ কুতুব শাহি ' অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।
(2) সরকারি নথিপত্র ও চিঠিপত্রঃ দিল্লি ও বিভিন্ন প্রদেশের রাজধানীতে রক্ষিত সরকারি ফরমান, নথি ও চিঠিপত্রের অধিকাংশই বিলুপ্ত হলেও, যেটুকু আজও টিকে আছে তা থেকে মোঘল আমল - বিশেষ করে জাহাঙ্গীর শাহজাহান ঔরঙ্গজেব রাজত্বকালে অনেক তথ্যাদি জানা যায় ।
(3) ইউরোপীয় ভ্রমণকারীদের বিবরণ ও বাণিজ্যকুঠির নথিপত্রঃ মোগল আমলে পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ , ইতালি ও ইংরেজ প্রভৃতি জাতির বহু পর্যটক ও বণিক ভারতে আসেন । তাদের মধ্যে রেলফ ফিচ, পার্চাস, টেরি, মানসিক, টেভারনিয়ার, বার্নিয়ার, হকিন্স, টমাস রো, বার্টন, কার্টরাইট, মানুচি অতি উল্লেখযোগ্য । তাদের রচনা থেকে সমকালীন জনজীবন রাজ্য শাসন ব্যবস্থা প্রভৃতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় । এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন বিদেশী বণিকদের বাণিজ্যকুঠি নথিপত্র গুরুত্বপূর্ণ ।
(4) মুদ্রা ও শিল্প নিদর্শনঃ মোগল আমলে প্রচলিত ধাতব মুদ্রা থেকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা জানা যায় । এই যুগের শিল্প কীর্তি মানুষের সুকুমার বৃত্তিি, কলা - নৈপুণ্য ও অর্থনৈতিক অবস্থার উপর আলোকপাত করে ।
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?
জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন । মঙ্গোলীয় ভাষায় বাবর কথার অর্থ বাঘ । তিনি 12 বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন ফরগনার (উজবেকিস্থান) মালিক হন । 1526 খ্রিস্টাব্দে পঞ্চম অভিযানে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন বাবর ।
বাবর (1483 - 1530) :
1483 খ্রিস্টাব্দে 14 ই ফেব্রুয়ারি বাবর জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতা ওমর শেখ মির্জা ও মায়ের নাম কুতলুগ নিগার খানুম । পিতার দিক থেকে তিনি ছিলেন তৈমুরের বংশধর ও মায়ের দিক থেকে চেঙ্গিস খাঁর বংশধর । 1497 খ্রিস্টাব্দে তিনি সমরখন্দ দখল করেন । তিনি ফরগনা হারান কিন্তু 1498 খ্রিস্টাব্দে পুনরুদ্ধার করেন । 1501 খ্রিস্টাব্দে সাহাবানি খান (উজবেক শাসক) বাবরকে পরাস্ত করে তার বোন খান্দাজা বেগমকে বিয়ে করেন । বাবর সিংহাসন হারিয়ে আশ্রয়ের জন্য তাসখন্দে যান এবং তার মামা মাহমুদ খান এর কাছে আশ্রয় নেন ।
1503 খ্রিস্টাব্দে বাবর ফরগনা দখলের চেষ্টা করলে আর্চিয়ানের যুদ্ধে সাহাবনি খাঁর কাছে পরাস্ত হন । 1504 খ্রিস্টাব্দে বাবর কাবুল অধিকার করে । বাবর ' আফগানিস্তানের বাদশাহ ' উপাধি নেন । বাবর কাবুল অধিকার করেন উলুগ বেগ এর শিশুপুত্র আব্দুর রাজ্জাক এর কাছ থেকে । কাবুল ও গজনি জয়ের পর 1507 খ্রিস্টাব্দে তিনি ' বাদশাহ ' উপাধি নেন । 1507 খ্রিস্টাব্দে বাবর কান্দাহার দখল করেন । 1508 খ্রিস্টাব্দে বাবর এর তৃতীয় স্ত্রীর গর্ভে হুমায়ুনের জন্ম হয় । বাবর উজবেকদের থেকে তুলুঘমা যুদ্ধ পদ্ধতি শেখেন । 1518 খ্রিস্টাব্দে বাবর পুনরায় রাজ্যজয় মনোনিবেশ করেন ।
বাবর 1511 খ্রিস্টাব্দে পারস্য সম্রাট ইসমাইল শাহ এর সঙ্গে মিত্রতা সমরখন্দ ও মধ্য এশিয়া জয় করেন । 1512 খ্রিস্টাব্দে উজবেকি সর্দার উবাইদ উল্লাহ খান গাজদাওয়ানের যুদ্ধে ইসমাইল শাহ ও বাবরকে পরাস্ত করেন ।
1519 খ্রিস্টাব্দে বাবর প্রথম ভারত অভিযান করেন । ইউসুফজি উপজাতিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করলে বাবর তাদের দমনের জন্য ভারত ও আফগান সীমান্তে উপস্থিত হন । তিনি ভেড়া নামক স্থান জয় করেন। এবং ভেড়ার যুদ্ধে বাবর প্রথম কামান ব্যবহার করেন । 1519 খ্রিস্টাব্দে তিনি বাজাউর দখল করেন । এরপর তিনি পেশোয়ার দখল করেন ।
তিনি খাইবার পাস দিয়ে প্রথম ভারতে আসেন । 1519 খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে বাবর দ্বিতীয় বার ভারত আক্রমণ করেন । তিনি খিজির খালি আফগানদের হারিয়ে পেশোয়ার দখল করেন । বাদাকশানে বিদ্রোহ শুরু হলে বাবর ফিরে যান ।
1520 খ্রিস্টাব্দে বাবর তৃতীয় বার ভারত আক্রমণ করেন । বাবর বাজাউর , ভেরা এবং শিয়ালকোট খুব সহজে দখল করেন । কিন্তু কান্দাহারে বিদ্রোহ শুরু হলে বাবুর ফিরে যেতে বাধ্য হন ।
1524 খ্রিস্টাব্দে বাবর চতুর্থবার ভারত আক্রমণ করেন । লাহোরের শাসনকর্তা দৌলত খাঁ লোদি । তার পুত্র দিলওয়ার খান এবং আলম খান লোদীকে বাবর এর সাহায্য পাঠান । বাবর 1524 খ্রিস্টাব্দে লাহোর ও দীপালপুর অধিকার করেন । কিন্তু অভিযানের মাঝপথে দৌলত খাঁর সঙ্গে তার মতভেদ দেখা দেয় । বাবর কাবুলের ফিরে গেলে দৌলত খাঁ লোদি লাহোর পুনরুদ্ধার করেন ।
1525 খ্রিস্টাব্দে নভেম্বর মাসে বাবর পঞ্চম ও শেষ বার ভারত আক্রমণ করেন । দৌলত খাঁ লোদির শেষ পর্যন্ত বাবরের সঙ্গে থাকলেও আলম খাঁ শেষ পর্যন্ত গুজরাটে গিয়ে আশ্রয় নেন । আলম খাঁ লোদী ছিলেন দিল্লীর সিংহাসন এর প্রধান দাবিদার । 1526 খ্রিস্টাব্দে 26 শে ফেব্রুয়ারি হুমায়ূন আহমেদ খানকে পরাস্ত করে হিসার - ফিরোজ শহর লুট করেন । বাবর হুমায়ূনকে হিসার ফিরোজার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ।
1526 খ্রিস্টাব্দের 20 শে এপ্রিল পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবর ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করেন । ইব্রাহিম লোদীর ছিল এক লক্ষ সেনা ও 1000 হস্তী বাহিনী, অপরপক্ষে বাবরের ছিল 12 হাজার সৈন্য । 1526 খ্রিস্টাব্দে 27 এপ্রিল বাবর দিল্লির জামি মসজিদে খুতবা পাঠ করেন । হুমায়ুন বাবরকে কোহিনুর হীরা উপহার দেন । ওজন ছিল 300 কুড়ির রতি এবং সমগ্র পৃথিবীর আড়াই দিনের খাদ্যের মূল্যের সমান ছিল এর মূল্য । হুমায়ুন আগ্রা, জৌনপুর, গান্ধী পুর, কলপি এবং গোয়ালিয়র দখল করেন । গোয়ালিয়রের রাজা বিক্রম জিতের কাছ থেকে হুমায়ুন কোহিনূর হীরেটি কেড়ে নেন । 1526 খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে সুলতান ইব্রাহিম লোদীর মা-বাবার সঙ্গে বিষ মেশালে বাবর অল্পের জন্য রক্ষা পান ।
মেবারের রানা সঙ্গ প্রথম পানিপথের যুদ্ধে বাবরকে সাহায্য করেন । কিন্তু পনেরশো 27 খ্রিস্টাব্দের 17 ই মার্চ খানুয়ার যুদ্ধে বাবর রানা সঙ্গ কে পরাস্ত করেন । খানুয়ার যুদ্ধে জয়ের পর বাবর ' গাজী ' উপাধি নেন । চান্দেরীর মেদিনী রায় ছিলেন রানা সঙ্গের সহযোগী এবং খানুয়ার যুদ্ধ থেকে পলাতক । 1528 খ্রিস্টাব্দে একুশে জানুয়ারি বাবর মেদিনী রায় কে হারিয়ে চান্দেরি দুর্গ দখল করে নেন ।
1528 খ্রিস্টাব্দের 2 রা ফেব্রুয়ারি বাবরের সেনাপতি অযোধ্যা ও লক্ষ্ণৌ জয় করেন । সুলতান ইব্রাহিম লোদীর ছোট ভাই মামুদ লোদী বাংলার সুলতান নসরৎ শাহের সহযোগিতায় মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান । 1529 খ্রিস্টাব্দের 6ই মে বাবর " ঘর্ঘরার বা ঘাঘরার " যুদ্ধে আফগানদের পরাস্ত করেন ।
1530 খ্রিস্টাব্দের 26 শে ডিসেম্বর বাবর আগ্রায় মারা যান 48 বছর বয়সে । তার মৃতদেহ কাবুলে পাঠিয়ে কবর দেয়া হয় । বাবর তুর্কি ভাষায় ' তুজুক-ই-বাবরি ' বা ' বাবরনামা ' নামে আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ লেখেন । এছাড়া তিনি ' দেওয়ান ' নামে তুর্কি ভাষায় কবিতার গ্রন্থ লেখেন, ফারসি ভাষায় ' মুরাইয়ান ' নামে কাব্য গ্রন্থ লেখেন । বাবর ছিলেন চিত্রশিল্পী এবং তার হস্তাক্ষর ছিল সুন্দর । বাবরের ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র কে নিয়ে তার খুড়তুতো ভাই মির্জা হায়দার ' তারিখ ই রশিদি ' গ্রন্থ লেখেন । বাবর তার দুই পুত্র হুমায়ুন ও কামরানকে মেদিনী রায়ের দুই কন্যার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে রাজপুত নীতির বীজ বপন করে । বাবর কাবুলিবাগ নির্মাণ করেন । এছাড়া তিনি লোদী দুর্গ নির্মাণ করেন । বাবর ' খাত-ই-বাবরী ' নামে একটি তুর্কী হরফ করেন ।
মুঘল সাম্রাজ্যের বংশ তালিকা
মুঘল সাম্রাজ্যের বংশতালিকা মনে রাখার সহজ উপায় হল একটা বাক্য মনে রাখতে হবে বাক্যটি নিচে দেয়া হল এবং বাক্যটির অর্থ গুলি নিচে আলোচনা করা হলো
বাক্যটি হলো " বাবার হলো আবার জ্বর শারিলো ঔষধে "
1) বাবার - বাবর (1483 - 1530) খ্রিস্টাব্দ
2) হলো - হূমায়ুন (1530 - 1556) খ্রিস্টাব্দ
3) আবার - আকবর (1556 - 1605) খ্রিস্টাব্দ
4) জ্বর - জাহাঙ্গীর (1605 - 1627) খ্রিস্টাব্দ
5) শারিলো - শাজাহান (1628 - 1658) খ্রিস্টাব্দ
6) ঔষধে - ঔরঙ্গজেব (1658 - 1707) খ্রিস্টাব্দ
মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কে ?
মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সম্রাট হলেন সম্রাট আকবর । হুমায়ুনের মৃত্যুর পর 14 ফেব্রুয়ারি 1556 খ্রিস্টাব্দে আকবর সিংহাসনে বসেন এবং নিজের নামে খুতবা পাঠ করেন । আকবর ' শাহেনশা ' উপাধি নেন । বৈরাম খাঁ প্রধানমন্ত্রী বা ভকিল- উল- সুলতানেত রূপে নিযুক্ত হন । এবং ' খান-ই-খানান ' উপাধি পান । বৈরাম খাঁ সিকান্দার সুরীর বিরুদ্ধে অভিযান চালান । আকবর যখন সিংহাসনে বসেন তখন তার বয়স ছিল 13 বছর তাই বৈরাম খাঁ আকবরের অভিভাবক হিসাবে সাম্রাজ্য চালাতে থাকেন ।
চুনার দুর্গের অধিপতি আদিল শাহ এর হিন্দু সেনাপতি হেমচন্দ্র বা হিমু বক্কাল দিল্লির দিকে অগ্রসর হন । বৈরাম খাঁ পীর মোহাম্মদ শেরওয়ানি কে সেনাসহ দিল্লিতে পাঠান তার্দি বেগকে আগ্রয় সাহায্যর জন্য । হিমু তার্দি বেগকে আগ্রায় পরাস্ত করেন এবং তার্দি বেগ আগ্রায় পালান । হেমচন্দ্র বা হিমু দিল্লির সিংহাসনে বসেন ' বিক্রমাদিত্য ' উপাধি নেন । আকবর সিরহিন্দে চলে যান এবং বৈরাম খাঁ তার্দি বেগকে হত্যা করেন দিল্লিতে তার ব্যর্থতার জন্য ।
1556 খ্রিস্টাব্দে 5 ই নভেম্বর পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ হিমু পরাজিত হন এবং পালিয়ে যান । শাহ কুলিখান মাহরম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন । 1557 খ্রিস্টাব্দের সিকান্দার শূর মূঘলদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করেন । 1556-1560 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বৈরাম খাঁর অধীনে আকবর ছিলেন । আকবর আদগা খেল এবং মহম অনগার খাঁর - যে ষড়যন্ত্র করে 1560 খ্রিস্টাব্দে বৈরাম খাঁ কে হত্যা করেন । লোকে বৈরাম খাঁ কে ' খানবাবা ' উপাধি দেন ।
1560 খ্রিস্টাব্দে বৈরাম খাঁ র মৃত্যু হলে মুঘল দরবারে অধিকাংশ কাজ মহম অনগা ও তাঁর পুত্র আদম খাঁ ও শাহিবুদ্দীনের নির্দেশে পরিচালিত হত । 1564 খ্রিস্টাব্দ থেকে আকবর নিজ হাতে শাসনভার নেন । ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ 1560 থেকে 1564 খ্রিস্টাব্দ কে বলেছেন Period of Petticoat Government বা অন্তঃপুরীকার শাসনকাল । আকবর আদম খাঁর মৃত্যুদণ্ড দেন 1564 খ্রিস্টাব্দে এবং আদম খাঁর বৃদ্ধা মাতা মহম অনগা ভগ্নহৃদয়ে মারা যান । আকবর সিংহাসন নিষ্কন্টক করার জন্য তার ভাই মির্জা মোঃ হাকিম এর সঙ্গে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন ।
আকবরের ধর্মীয় নীতি
আকবরের মা হামিদা বানু বেগম ছিলেন পারসিক শিয়া মৌলবি মীর বাবা-দোস্ত-আলি-আকবর-জামির কন্যা । আকবরের গৃহ শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও পারসিক শিক্ষক পীর মোহাম্মদ এর কাছে আকবর সুলহ-ই-কুল বা সকল ধর্মের সমন্বয় শিক্ষা নেন ।
দ্বিতীয়তঃ তার রাজপুত মহিষীদের প্রভাব এবং শেখ মুবারক ও তার দুই পুত্র ফৈজি ও আবুল ফজলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তাঁকে ধর্মীয় ব্যাপারে প্রভাবিত করে । তাছাড়া বিভিন্ন ধর্ম মতের প্রচারকদের সান্নিধ্যে তার মনে গভীর প্রভাব পড়ে ধর্মীয় ব্যাপারে । 1575 খিষ্টাব্দে আকবর ফতেপুর সিক্রি তে ইবাদৎখানা স্থাপন করেন ধর্ম আলোচনার জন্য । এখানে হিন্দু ধর্ম ব্যাখ্যা করেন পুরুষোত্তম দাস ও দেবী, হরিবিজয় সূরী এবং বিজয়সেনসুরী জৈন ধর্ম ব্যাখ্যা করেন । জরাথুস্ট্র ধর্মমত ব্যাখ্যা করেন মহারাজজি রানা । 1579 খ্রিস্টাব্দে ফতেপুর সিক্রি তে মসজিদের ইমামকে সরিয়ে দিয়ে নিজে উপাসনা শুরু করেন এবং মাজাহার বা নির্দেশনামা জারি করে। নিজেকে ' ইমাম-ই -আদিল ' বা ঐসলামিক আইনের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকার বলে ঘোষণা করেন । এই মাজাহার টি তৈরি করেন শেখ মুবারক । ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই ঘোষণাপত্রটি কে অভ্রান্ত নির্দেশনামা বলে উল্লেখ করেছেন । 1582 খ্রিস্টাব্দে আকবর ' দীন-ই-ইলাহী 'নামে একটি নতুন ধর্ম প্রবর্তন করেন । 18 জন বিশিষ্ট মুসলমান ও বীরবল (মহেশ দাস) নামে এক হিন্দু এই ধর্মমত গ্রহণ করেন । রাজা ভগবান দাস ও মানসিংহ দীন-ই-ইলাহীগ্রহণ করতে অস্বীকার করেন । ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই নব ধর্মমত, তাঁর বুদ্ধি হীনতার স্মৃতিস্তম্ভ বলে উল্লেখ করেছেন । 1581-1582 খ্রিস্টাব্দে ইবাদৎখানায় ধর্মীয় বিতর্ক বন্ধ করে দেন ।
আকবরের শাসনব্যবস্থাঃ
শাসন ব্যবস্থায় সম্রাট ছিলেন সর্বেসর্বা । সম্রাটের পরে স্থান ছিল ভকিল বা প্রধানমন্ত্রী । দেওয়ান বা উজীর ছিলেন ছিলেন অর্থ বা রাজস্ব বিভাগের প্রধান । মীর বক্সী ছিলেন সামরিক প্রধান । সদর উস-সুদূর ছিলেন ধর্ম ও দাতব্য বিভাগের প্রধান । কাজি-উল-কাজাত ছিলেন প্রধান বিচারপতি । ধর্মনিরপেক্ষ বিচারককে বলা হত মীর আদল । মীরসামান ছিলেন সম্রাটের গৃহ পরিচালনার ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী । দিওয়ান - ই - খালিসা ( চাষযোগ্য জমি ), দিওয়ান -ই-ট্যান ( জায়গীর ) , মুসরিফ-ই-মুমালিক (মহা গণনিক) , দারোগ-ই-ডাকচৌকি (পোস্টমাস্টার) , মির-বাহরী (নৌকা ও জাহাজ) , মীর-ই-মাল (রাজকীয় কোষাগার) , মির-মঞ্জিল (ঘরবাড়ি) , মীর আতিল ( পদাতিক বাহিনীর প্রধান ) , ওয়াকিয়ানাবিশ (সংবাদ প্রেরক) , কুফিয়া নবিশ (গোপন চিঠি লেখক) এবং কারকারাজ (গুপ্তচর) । এছাড়া মনসবদারদের দেখার জন্য ছিল দিওয়ান ও বক্সী নামক কর্মচারী ।
আকবর তার সম্রাজ্য কে 15 টি (মতান্তরে 12 টি) সুবা বা প্রদেশে ভাগ করেন । শাহজাহানের সময় সাম্রাজ্য 19 কি সুবায় ভাগ হয়েছিল । সুবার শাসনকর্তা কে সুবাদার বা সিপাহসলার বলা হত । সুবাদার ছাড়াও প্রত্যেক প্রদেশে একজন করে দেওয়ান থাকতেন । প্রত্যেকটি সুবা কয়েকটি সরকারের এবং প্রত্যেকটি সরকার কয়েকটি পরগনায় এবং প্রতিটি পরগনায় কয়েকটি গ্রামে বিভক্ত ছিল ।
1582 খ্রিস্টাব্দে টোডরমল নতুন রাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন । তিন ধরনের রাজস্ব পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় । যথা যাবত বা যাবতি বা দহশালা, গাল্লাবক্স এবং নাক্স । যাবত বা যাবতি বা দহশালা ব্যবস্থার জন্যই টোডরমলের খ্যাতি । যাবত বা যাবতি ব্যবস্থা অনুসারে জমির উৎপাদিকা শক্তির উপর নির্ভর করে জমি কে চার ভাগে ভাগ করা হয় যথা, পোলাজ ( যে জমিতে সারাবছর চাষ হয় ) , পরৌতি ( যে জমি কিছুকাল চাষের পর উর্বরতার জন্য ফেলে রাখা হয় ) এবং বানজার ( কৃষিকাজের অনুপযুক্ত জমি ) । প্রথম তিন প্রকার জমিকে উত্তম, মধ্যম ও অধম তিন প্রকার ভাগ করে 1/3 ভাগ রাজস্ব স্থির হত । রাজস্ব নগদ টাকা বা শস্যে দেওয়া যেত । যাবতি এই ব্যবস্থা বিহার, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, দিল্লি, লাহোর, মুলতান, রাজপুতানা এই আটটি প্রদেশে চালু ছিল । গাল্লাবক্স বা বাতাই প্রথা অনুসারে জমি জরিপ করা হতো না । উৎপন্ন ফসলের 1/3 ভাগ সরকারকে দিতে হতো। এই ব্যবস্থা সিন্ধু প্রদেশ, কাশ্মীর, কান্দাহার ও কাবুলে প্রচলিত ছিল । নাক্স প্রথা অনুসারে মোটামুটি একটি অনুমান ভিত্তিক রাজস্ব স্থির হত । জমি জরিপ করে উৎপাদিকা শক্তির উপর নয় । এই ব্যবস্থা কাথিয়াবাড়, বাংলাদেশ ও গুজরাটে চালু ছিল । গ্রাম স্তরে রাজস্ব আদায় করত পাটোয়ারি । পরগনা স্তরে রাজস্ব আদায় করত কানুনগো এছাড়া কানুনগো তাকাভি ঋণদানে কৃষকদের সাহায্য করত । সরকার বা জেলাস্তরে খাজনা আদায় করত আমিল, তাকে সাহায্য করত কারকুন (Accountant) ও খাজনাদার (কোষাধ্যক্ষ) । প্রদেশের রাজস্ব বিভাগের প্রধান ছিলেন দেওয়ান ।
আকবর মনসবদারি প্রথা চালু করেন 1570 খ্রিস্টাব্দে । মনসবদার কথার অর্থ হল পদমর্যাদা । শুরুতে 66টি স্তরে মনসবদারেরা বিভক্ত ছিলেন । কিন্তু বাস্তবে তা ছিল 33 টি স্তরে বিভক্ত । মনসবদারেরা 5000-10000 যেকোনো পরিমাণ সৈন্য রাখতে পারতো । যুবরাজ দের জন্য ছিল পাঁচ হাজারের বেশি মনসব । সেলিম বা জাহাঙ্গীর এর জন্য ছিল 10000 মনসব । আকবর 12000 মন সব পদের সৃষ্টি করেন মানসিংহ ও মির্জা আব্দুল আজিজ এর জন্য । 500 এর বেশি মনসবদার কে বলা হতো আমীর । মনসবদার পদের সঙ্গে ' জাত' ও 'সওয়ার' শব্দ দুটি জড়িয়ে আছে । এই দুটি কথার প্রকৃতি অর্থ নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে । মোটকথা, ছাত্র ছিল মনসবদারের নিজ পদমর্যাদাসূচক শব্দ এবং সওয়ার ছিল সেই মনসবদারের অধীনস্থ সেনার সংখ্যাবাচক পদমর্যাদাসূচক শব্দ । আকবর দাগ ও হুলিয়া প্রথা চালু করেন । ঘোড়ার গায়ে চামড়া পুড়য়ে ক্রমিক নম্বর দেয়া হতো একে বলে দাগ । হুলিয়া ছিল সৈনিকদের দৈনিক বিবরণে লিখে রাখা । মুঘল যুগে জায়গীর প্রথার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো জমা ও হাসিল ।
আকবরের আমলে সাহিত্য, শিল্প সংস্কৃতি ও স্থাপত্যঃ
আকবরের সময় দিল্লিতে হুমায়ুনের সমাধি নির্মাণ করা হয় । ফতেপুর সিক্রিতে আকবর সেলিম চিস্তির সমাধি তৈরি করেন । জামি মসজিদ, যোধাবাঈ রাজপ্রাসাদ, মরিয়ম এবং সুলতান রাজপ্রাসাদ, বীরবলের বাড়ি, দিওয়ান-ই-আম, দেওয়ান-ই-খাস, সেকেন্দায় আকবরের সমাধি এবং গুজরাট জয়ের স্মৃতি হিসেবে 176 ফুট উঁচু বুলান্দ দরওয়াজা তিনি নির্মাণ করেন । তাছাড়া আকবর অ্যাটক, ফতেপুর সিক্রি ও এলাবাদ দুর্গ নির্মাণ করেন ।
আকবরের প্রধান চিত্রকর ছিলেন মীর সৈয়দ আলি, আব্দুল সামাদ, যশোবন্ত, বসোয়ান প্রমুখ । তাঁর সময়ে রাজনামা (মহাভারত) চিত্রগুলি আঁকা হয় । রাজ নামাতে 69 টি পৃষ্ঠা ছিল । এরমধ্যে বারোটি এঁকেছিলেন বসোয়ান । মীর সৈয়দ আলী ও আব্দুল সামাদ দস্তান-ই-আমির হামজা নামের চিত্রগুলি আঁকেন । পারসিক সাহিত্য নিজামীর খামসা, মালির গুলিস্তান, হাফিজের দিওয়ান এবং জামিরের বাহারিস্তান গ্রন্থের ছবিগুলি আঁকেন তার সময়ের চিত্রকরেরা । জামি-অল-তোয়ারিক চিত্রগুলি আঁকেন বসোয়ান, লাল, ভীম, ধর্মদাস, মধু ও সুরদাস । মিশকিনা দারাবনামাতে ছবি আঁকেন । আকবরনামাতে ছবি আঁকেন শংকর, দৌলত, গোবর্ধন, এনায়েৎ পিন্ডরক ।
আকবরের সময়ে তুলসীদাস ' রামচরিত মানস ' গ্রন্থ লেখেন । সুর সাগর স্রষ্টা সুরদাস, কবি প্রিয় বীরবল এবং রাজপ্রাসাদের শ্রেষ্ঠ রাজকীয় কবি আব্দুর রহিম খান-ই- খানান আকবরের রাজসভায় বিরাজ করতেন ।
আকবরের সময় অনেকগুলি বই অনুবাদ করা হয় । অর্থববেদ ফার্সি তে অনুবাদ করেন ইব্রাহিম , সিরহিন্দ, শেখ সুলতান তিনজনে মিলে, লীলাবতী ও নলদময়ন্তী ফার্সীতে অনুবাদ করেন ফৈজী । রাজতরঙ্গিনী অনুবাদ করেন মুলাশাহ মহম্মদ । হরিবংশ পর্ব অনুবাদ করেন মৌলানা সুরি। পঞ্চতন্ত্র অনুবাদ করেন আবুল ফজল । রামায়ণ ফার্সি তে অনুবাদ করেন বাদায়ুনি । জাতক ফার্সি তে অনুবাদ করেন মখমল খা । কাশ্মীরের ইতিহাস ফাঁসিতে অনুবাদ করেন মৌলানা সাহ । তুতিনামা এবং কোক শাস্ত্র ফারসি অনুবাদ করেন জিয়া নাক্স বন্দী ।
আকবরের চরিত্র কৃতিত্ব ও বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কঃ
আকবর 1563 খ্রিস্টাব্দে হিন্দুদের ওপর থেকে জিজিয়া কর তুলে দেন । তিনি দাস প্রথা এবং সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন এবং বিধবা বিবাহ প্রথা চালু করেন। বিবাহের বয়স ছেলেদের ক্ষেত্রে 16 বছর মেয়েদের ক্ষেত্রে 14 বছর নির্দিষ্ট করে দেন । পর্তুগিজ দূত হিসাবে অ্যান্টোনিও ক্যাব্রাল আকবরের দরবারে আসেন । আকবর হাজী আব্দুল্লাহকে দূত হিসাবে পর্তুগীজদের কাছে পাঠান । ফাদার রুডলফ দূত হিসাবে তার রাজসভায় আসেন ।
আকবর পারসিক উৎসব নওরোজ চালু করেন এবং পারসিক সৌর ক্যালেন্ডার গ্রহণ করা হয় । আকবর জৈন পন্ডিত হরি বিজয় সুবিকে কে ' জগতগুরু ' উপাধি দেন । এবং জিনচন্দ্রসুরী কে ' জগপ্রধান ' উপাধি দেন ।
জেসুইট টনি মনসেরেট তাঁর দরবারে আসেন । আকবর ঝরকা প্রদর্শন এবং তসলিমা যৌথ প্রথার প্রচলন করেন । আকবরের সময় প্রথম দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় (1594-1598) খ্রিস্টাব্দে । আকবর খুব সুন্দর নাগারা বাজাতেন । আকবরের নির্দেশে বৈরাম খাঁ কে হত্যা করেন মুবারক খান । সেলিমের নির্দেশে আবুল ফজল কে হত্যা করেন বীরসিংহ বুন্দেলা । 25 অক্টোবর মধ্যরাত্রে আকবর আমাশয় আক্রান্ত হয়ে মারা যান 1605 খ্রিস্টাব্দে । তাকে সেকেন্দ্রায় সমাধিস্থ করা হয় । বৈরাম খাঁ এর মৃত্যুর পর আকবর দিল্লির শাসক শিবাউদ্দিন আৎকা খানকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন । আকবর তার রাজধানী আগ্রার ফতেপুর সিক্রি তে নিয়ে যান । আকবরের রাজসভায় সবচেয়ে বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন তানসেন । তার আসল নাম রামতনু পান্ডে । তানসেনের আবিষ্কৃত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাগ হল মল্লার, তোড়ি, সরং ইত্যাদি ।
মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট কে ?
ঔরঙ্গজেব (1658-1707) : ঔরঙ্গজেব ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট । 24 শে অক্টোবর 1618 খ্রিস্টাব্দে শাহজাহানের তৃতীয় পুত্র ঔরঙ্গজেব জন্মগ্রহণ করেন মমতাজ মহলের গর্ভে দোহাদে । ঔরঙ্গজেবের প্রথম স্ত্রীর নাম দিলরাস বেগম, যিনি রাবিয়া উদদুরানি নামে পরিচিত । এর নামে ঔরঙ্গবাদে বিবিকা মকবারা নির্মিত হয় । তার দ্বিতীয় পত্নীর নাম নবাবাঈ । ঔরঙ্গজেবের তৃতীয় স্ত্রীর নাম ছিল ঔরঙ্গবাঈ মহল । তার কনিষ্ঠ স্ত্রীর নাম উদয়পুরী মহল । ঔরঙ্গজেব 1658 খ্রিস্টাব্দের 21 শে জুলাই ' আবুল মুজফিকর মুহিউদ্দিন মহম্মদ ঔরঙ্গজেব বাহাদুর আলমগীর বাদশাহ গাজী ' উপাধি নিয়ে দিল্লির সিংহাসনে বসেন ।
1661 খ্রিস্টাব্দে মীরজুমলা বাংলা আক্রমণ করেন এবং গুহাটি ও আহমদের রাজধানী গড়গাঁও দখল করেন । 1663 খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব এর মামা শায়েস্তা খাঁ কে বাংলার শাসক হিসাবে নিয়োগ করেন । শায়েস্তা খাঁ চট্টগ্রাম দখল করে পর্তুগীজদের বিতাড়িত করেন । 1681 খ্রিস্টাব্দে গোয়াহাটি মুঘলদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং কোচবিহার মুঘলদের বশ্যতা স্বীকার করে । 1666 খ্রিস্টাব্দে 26 শে জানুয়ারি শায়েস্তা খাঁ পর্তুগীজ জলদস্যু এবং মগদের বিতাড়িত করেন বাংলার সন্দ্বীপ দ্বীপ থেকে । 1661 খ্রিস্টাব্দে বিহারের শাসনকর্তা দাউদ খাঁ পালামৌ জয় করেন । 1662 খ্রিস্টাব্দে দিল্লি ও মথুরায় বসবাসকারী জাঠরা গোকলার নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে । আবদান নবী খান গোকলাকে পরাস্ত করে বন্দী করেন । পরবর্তীকালে রাজারাম 1688 খ্রিস্টাব্দে মুঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন । রাজারামের ভাইপো চুরামন ভরতপুরে একটি স্বাধীন জাট রাজ্য গড়ে তোলেন ও মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান । নারনুল ও মেওয়াটের সৎনামীরা গরিব দাস হাডা নামে এক নেতার নেতৃত্বে 1672 থেকে 1673 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ শুরু করে । রাজা বিশেণ সিংহ ও হামিদ খান এই বিদ্রোহ দমন করেন ।
গুরু হাররাই -এর পুত্র রামরাই এবং গুরু হরকিষণকে ঔরঙ্গজেব মুঘল দরবারে রাখেন নিজের তত্ত্বাবধানে । ঔরঙ্গজেব নবম গুরু তেগ বাহাদুরকে প্রাণদণ্ড দেন । কারণ গুরু তেগ বাহাদুর ঔরঙ্গজেব এর বিরুদ্ধে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পক্ষ নেন । দশম গুরু গোবিন্দ সিং খালসা বাহিনী গঠন করে মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান । 1688 খ্রিস্টাব্দে ভাঙ্গানির যুদ্ধে গুরু গোবিন্দ সিং মুঘল সেনাপতি ফতে শাহ কে পরাস্ত করেন । 1690 খ্রিস্টাব্দে নাদোয়ানের যুদ্ধে গোবিন্দ সিং ও রাজা ভীমচাঁদ মুঘল সেনাপতি আলিফ খান কে পরাস্ত করেন । 1679 খ্রিস্টাব্দে মারওয়ার ঔরঙ্গজেব মোগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন । যোধপুরের সিংহাসন তিনি নাগাউরের শাসক ইন্দ্র সিং এর কাছে বিক্রি করে দেন । 1679 খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব তার পুত্র আকবরকে পাঠান যায়ওয়ার অভিমানে । কিন্তু দুর্গাদাস নামে এক রাঠোর সর্দার মাড়ওয়ারের হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যান । মেবারের রানা রাজ সিংহ দুর্গাদাস এর সঙ্গে যোগ দেন । মারওয়ার থেকে তাহির খান ও ইন্দ্রসিং ও যুবরাজ আকবর পালিয়ে যান । 1681 খ্রিস্টাব্দে মেবারের রানা সিংহের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র জয় সিংহের সঙ্গে ঔরঙ্গজেব সন্ধি করেন । রানা রাজ সিংহ গেরিলা যুদ্ধ করে মুঘলদের প্রচুর ক্ষতি করেন এবং ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন । কিন্তু জয় সিংহ সন্ধি করলেও মারওয়ার যুদ্ধ চালিয়ে যায় । মুঘল সম্রাট প্রথম বাহাদুর শাহ মাাড়ওয়ারাজ অজিত সিংহ কে মাড়ওয়ারের নতুন রাজা বলে স্বীকৃতি দেন । 1681 খ্রিস্টাব্দের 11 জানুয়ারি যুবরাজ আকবর রাজপুতদের সহায়তায় নিজেকে সম্রাট বলে ঘোষণা করেন । বুন্দেলা নেতা বীরসিংহ কেশব রায় এক মন্দির নির্মাণ করেন । ঔরঙ্গজেব ওই মন্দির ভাঙ্গার ফলে চম্পত রায়ের নেতৃত্ব বুন্দলারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে । চম্পত চরই পরাজিত হন ও লজ্জায় আত্মহত্যা করেন । চম্পট রায়ের পুত্র ছত্রশাল 1671 খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়ে একটি স্বাধীন হিন্দু রাজ্য স্থাপন করেন ।
উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে বসবাসকারী ইউসুফজাইরা ভাগু নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন 1667 খ্রিস্টাব্দে । মহম্মদ আমিন নামে মুঘল সেনাপতি এই বিদ্রোহ দমন করেন । 1672 খ্রিস্টাব্দে আজমল খাঁর নেতৃত্বে আফ্রিদি উপজাতি বিদ্রোহ ঘোষণা করে । আলী মসজিদ এর যুদ্ধে মুঘল সেনাপতি মোহাম্মদ আমিন পরাজিত হন । 1674 খ্রিস্টাব্দে খতক উপজাতির নেতা কুশহাল খাঁ বিদ্রোহ ঘোষণা করে । বিদ্রোহীরা মোঘল সেনাপতি সুজাত খাঁকে কাকে হত্যা করে । ঔরঙ্গজেব এর পর উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে মুঘল সেনাপতি আমিন খাঁকে নিযুক্ত করেন বিদ্রোহ দমনের জন্য । ভাতা ও জাগিরের লোভে বহু আফগান সর্দার মোগল পক্ষ নেন ।
1681 খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব উত্তর ভারতের সমস্যা মিটিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে দাক্ষিণাত্য যাত্রা করেন । ঔরঙ্গজেব বিজাপুর আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন । 1686 খ্রিস্টাব্দে সিকান্দার আদিল শাহ এর কাছ থেকে ঔরঙ্গজেব বিজাপুর দখল করে মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন । ঔরঙ্গজেব তার পুত্র মোয়াজ্জেমকে গোলকুণ্ডা আক্রমণ এর আদেশ দেন । মোয়াজ্জাম গোলকুণ্ডা অগ্রসর হন । মদন ও তাঁর ভাই আক্কান কে হত্যা করেন আবুল হাসান কুতুবশাহের অনুচরেরা । 1687 খ্রিস্টাব্দে ওরঙ্গজেব গোলকুণ্ডা দখল করে মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেন । ঔরঙ্গজেব কে গোলকুণ্ডা দখলে সাহায্য করে আব্দুল্লাহ পনি ও আবুল হাসান নামে দু'জন বিশ্বাসঘাতক । 1697 খ্রিস্টাব্দে ওরঙ্গজেব তাঞ্জোর ও ত্রিচিনো পল্লী দুটি হিন্দু রাজ্য জয় করেন । 1689 খ্রিস্টাব্দে শিবাজীর পুত্র শম্ভজী মুঘল বাহিনীর হাতে বন্দী হন ও তার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় । শম্ভুজির শিশুপুত্র শাহু পরিবারের অন্যদের বন্দী করা হয় । শিবাজীর অপর পুত্র রাজারাম মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান ও রাজারামের মৃত্যুর পর তার বিধবা পত্নী তারাবাঈ শিশুপুত্র তৃতীয় শিবাজী কে সিংহাসনে বসিয়ে মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান । নিমাতখান আলি ঔরঙ্গজেবের গোলকুণ্ডা জয়ের ঘটনা নিয়ে লেখেন ' ওয়াকাই-ই-হায়দারবাদ ' গ্রন্থ ।
ঔরঙ্গজেব তারপুত্র আজমকে লেখেন " আমি একা এসেছি " একাই যাচ্ছি । আমি দেশ ও জনগণের উপকার করতে পারিনি এবং ভবিষ্যতের কোনো আসা দেখতে পাচ্ছি না । 1707 খ্রিস্টাব্দের তিনে মার্চ জুম্মা নামাজের দিন এই জিন্দাপীর বা জীবন্ত পীর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে দেহত্যাগ করেন আহম্মদ নগরে ।
ঔরঙ্গজেব এর চরিত্র ও কৃতিত্ব :
ঔরঙ্গজেব ছিলেন গোঁড়া সুন্নি মুসলিম । তিনি পান্ধারি কর নিষিদ্ধ করেন । তিনি মুদ্রাতে কলমা খোদাই করেন । ওরঙ্গজেব নওরোজ, ঝরোখা দর্শন, নিত্যগীত, সুরাপান, গাঁজা ভাঙ ও অন্যান্য নেশা দ্রব্যের ব্যবহার, জুয়াখেলা, পীরের দরগা বাতি দেওয়া, মহররমে শোভাযাত্রা, গণিকাবৃত্তি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন । তিনি মুহতাশিব নামে কর্মচারীদের নিযুক্ত করেন কোরন-নির্দিষ্ট পথে জনগণের জীবনযাত্রা পরিচালনা করার জন্য । তিনি পেশকার ও ক্রোরি নামে রাজপথ সৃষ্টি করে তা মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ করেন । রাজপুত ছাড়া অন্যান্য হিন্দুদের পালকি চড়া, অশ্বারোহণ ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করেন । 1669 খ্রিস্টাব্দে তিনি হিন্দুদের মন্দির ধ্বংসের নির্দেশ দেন ।
কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির, গুজরাটের সোমনাথ মন্দির, মথুরা কেশব মন্দির, বৃন্দাবনের গোবিন্দ জিউয়ের মন্দির, তার আদেশে ধ্বংস হয় । 1659 খ্রিস্টাব্দে মন্দির নির্মাণ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন । 1664 খ্রিস্টাব্দে পুরানো মন্দির সংস্কার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন । 1665 খ্রিস্টাব্দে মুসলমানদের উপর 2.5 শতাংশ হিন্দুদের উপর 5 পার্সেন্ট শুল্ক-কর চাপান । 1679 খ্রিস্টাব্দে তিনি হিন্দুদের উপর জিজিয়া কর প্রবর্তন করেন । 695 খ্রিস্টাব্দে ইটালীয় চিকিৎসক জেমেলি কাবেরি তাঁর রাজসভায় আসেন । ঔরঙ্গজেবের আমলে প্রদেশের সংখ্যা বেড়ে 21 হয় । ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ বলেন " দাক্ষিণাত্য ঔরঙ্গজেব এর দেহ ও সাম্রাজ্যোর সমাধিস্থল ।
মুঘল সাম্রাজ্য MCQ প্রশ্ন উত্তর
1) আবুল ফজল রচিত পুস্তক দুটির নাম কি ?
ANS: আইন-ই-আকবরী ও আকবরনামা
2) আরবরা কবে সিন্ধু দেশ জয় করে ?
ANS: আনুমানিক 712 খ্রিস্টাব্দে
3) দাহির কোথাকার রাজা ছিলেন ?
ANS: সিন্ধু দেশের
4) সোমনাথের মন্দির কে লুণ্ঠন করেন ?
ANS: আফগানিস্তানের অন্তর্গত গজনী রাজ্যোর সুলতান মামুদ ।
5) সুলতান মামুদ কে ভারতে কে প্রথম বাধা দেন ?
ANS: উত্তর-পশ্চিম ভারতের শাহী বংশের রাজা জয়পাল
6) তহকিক-ই-হিন্দ গ্রন্থের রচয়িতা কে ?
ANS: আল বিরুনি
7) ভারতে তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: মোহাম্মদ ঘোরি
8) দিল্লি সুলতানির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: ইলতুৎমিস
9) কুতুবউদ্দিন প্রতিষ্ঠিত আদি রাজবংশের নাম কি ?
ANS: দাস বংশ
10) কত খ্রিস্টাব্দে সুলতানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হয় ?
ANS: 1206 খ্রিস্টাব্দে
11) দিল্লির প্রথম ও শেষ নারী সুলতান কে ছিলেন ?
ANS: সুলতানা রাজিয়া
12) দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বিধি কে চালু করেন ?
ANS: খলজী সুলতান আলাউদ্দিন খলজী
13) কে তামার নোট প্রচলন করেছিলেন ?
ANS: মুহাম্মদ বিন তুঘলক
14) খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: জালালুদ্দিন খলজি
15) দাস বংশের শেষ সুলতান কে ছিলেন ?
ANS: কায়কোবাদ
16) আলাউদ্দিন খলজির কোন সেনাপতি দাক্ষিণাত্য অভিযানে নেতৃত্ব দেন ?
ANS: মালিক কাফুর
17) মুসলমানদের বাংলা বিজয়ের সময় বাংলা রাজা কে ছিলেন ?
ANS: সেন বংশের রাজা লক্ষণ সেন
18) চেঙ্গিস খাঁ কে ?
ANS: মঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খাঁ ইলতুৎমিসের রাজত্বকালে ভারত আক্রমণ করেন
19) কুতুব মিনার কে নির্মাণ করেন ?
ANS: ইলতুৎমিস
20) গিয়াসউদ্দিন বলবনের নীতি কি ছিল ?
ANS: করত ও লৌহনীতি
21) কোন সুলতান প্রথম দাক্ষিণাত্য জয় করেন ?
ANS: আলাউদ্দিন খলজী
22) দিল্লির সুলতানির প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?
ANS: কুতুবউদ্দিন আইবক
23) ' সুলতানি যুগের আকবর ' কাকে বলা হয় ?
ANS: ফিরোজ শাহকে
24) দিল্লির শেষ সুলতান কে ছিলেন ?
ANS: ইব্রাহিম লোদী
25) পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কবে হয় এবং কে পরাজিত হয় ?
ANS: 1526 খ্রিস্টাব্দে। দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদী পরাজিত হয়
26) তালিকোটার যুদ্ধ কবে হয় ?
ANS: 1565 খ্রিস্টাব্দে
27) বাংলায় বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক কে ছিলেন ?
ANS: শ্রী চৈতন্যদেব
28) মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদ কে করেন ?
ANS: কবীন্দ্র পরমেশ্বর
29) মুহাম্মদ বিন তুঘলক কোথা থেকে কোথায় রাজধানী নিয়ে যান আর নিয়ে আসেন ?
ANS: দিল্লি থেকে দক্ষিণ ভারতের দেবগিরি বা দৌলতাবাদে এবং পুনরায় দিল্লিতে ।
30) শিখ ধর্মের প্রবর্তক কে বা প্রথম গুরু কে ?
ANS: গুরু নানক
31) খানুয়ার যুদ্ধ কবে এবং কাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ?
ANS: 1527 খ্রিস্টাব্দে মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহের সঙ্গে বাবরের
32) কবুলিয়ত ও পাট্টা প্রদানের নীতি কে প্রবর্তন করেন ?
ANS: শেরশাহ
33) দিন-ই-ইলাহি কে প্রবর্তন করেন ?
ANS: মোগল সম্রাট আকবর
34) দিন-ই-ইলাহি কি ?
ANS: মুঘল সম্রাট আকবর প্রবর্তিত নতুন ধর্মমত
35) তবাকৎ-ই-নাসিরি কে রচনা করেন ?
ANS: মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ
36) ভারতের তোতাপাখি কে ?
ANS: আমির খসরু
37) ইবন বতুতার ভারত ভ্রমণ কাহিনীর নাম কি ?
ANS: কিতাব-উল-রাহলা (সফরনামা)
38) মোহাম্মদ ঘোরী কে ছিলেন ?
ANS: গজনীর শাসক ও দিল্লি বিজেতা ।
39) বখতিয়ার খলজি কে ছিলেন ?
ANS: মোহাম্মদ ঘোরি তুর্কি সেনানায়ক যিনি লক্ষণ সেনের সময় বঙ্গদেশ জয় করেন ।
40) দিল্লিতে সুলতানি কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
ANS: কুতুবউদ্দিন আইবক
41) কাকে ' লাখবক্স ' বলা হত ?
ANS: কুতুবউদ্দিন আইবক কে
42) খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: জালাল উদ্দিন খলজি
43) খলজি বংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান কে ছিলেন ?
ANS: আলাউদ্দিন খলজী
44) দাক্ষিণাত্যের কোন রাজ্য আলাউদ্দিন প্রথম আক্রমণ করেন ?
ANS: দেবগিরি
45) আলাউদ্দিন কোন অঞ্চল থেকে মালিক কাফুর কে সংগ্রহ করেন ?
ANS: গুজরাটের ক্যাম্বে থেকে ।
46) ইবন বতুতার ভ্রমণকাহিনীর নাম কি ?
ANS: কিতাব-উল-রাহলা
47) তৈমুর লং কোন সুলতানের আমলে ভারত বর্ষ আক্রমণ করেন ?
ANS: মাহমুদ শাহ তুঘলকের আমলে
48) কত সালে তৈমুর ভারত আক্রমণ করেন ?
ANS: 1398 খ্রিস্টাব্দে
49) সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: সৈয়দ খিজির খাঁ
50) লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: বহলুল লোদী
51) লোদী বংশের শেষ সুলতান কে ?
ANS: ইব্রাহিম লোদী
52) বাহমনী রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: আলাউদ্দিন রহমন শাহ
53) বিজয়নগর রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: হরিহর ও বুক্কা
54) বিজয়নগর শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন ?
ANS: কৃষ্ণদেব রায়
55) কাকে ' অন্ধ্র কবিতার পিতামহ ' বলা হয় ?
ANS: তেলেগু কবি পোড্ডান
56) কাকে কাশ্মীরের আকবর বলা হয় ?
ANS: জয়নুল আবেদিনকে
57) মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর
58) বাবরের আত্মজীবনীর নাম কি ?
ANS: তুজুক-ই-বাবরি
59) হুমায়ুননামা কে রচনা করেন ?
ANS: গুলবদন বেগম
60) জাহাঙ্গীরের লেখা আত্মচরিত নাম কি ?
ANS: তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী
61) বাবরের পিতার নাম কি ?
ANS: ওমর শেখ মির্জা
62) কনৌজের যুদ্ধ / বিল গ্রামের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল ?
ANS: শের খাঁ ও হুমায়ুনের মধ্যে
63) দিল্লিতে শূর বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: শেরশাহ
64) বাল্যকালে শেরশাহের নাম কি ছিল ?
ANS: ফরিদ খাঁ
65) গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড সড়ক-ই-আজম কে নির্মাণ করেন ?
ANS: শেরশাহ
66) ঘোড়ার ডাক ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন ?
ANS: শেরশাহ
67) শেরশাহ প্রবর্তিত দুটি দলিল কি ?
ANS: কাবুলিয়াট ও পাট্টা
68) শেরশাহ কিভাবে মারা যান ?
ANS: কালিঞ্জর দুর্গ অবরোধকালে (1545 খ্রিঃ)
69) শেরশাহের বাঙালি হিন্দু সেনাপতি কে ছিলেন ?
ANS: ব্রহ্মজিৎ গৌড়
70) হলদিঘাটের যুদ্ধ কখন হয়েছিল ?
ANS: 1576 খ্রিস্টাব্দে (আকবর ও রানা প্রতাপ সিংহের মধ্যে)
71) হলদিঘাটের যুদ্ধে মুঘল সেনাপতি কারা ছিলেন ?
ANS: মানসিংহ ও আসফ খাঁ
72) আকবরের সর্বশেষ সামরিক অভিযান কি ?
ANS: খান্দেশের অসীরগড় দুর্গ জয় (1601 খ্রিঃ)
73) মনসবদারি প্রথা কে প্রবর্তন করেন ?
ANS: আকবর
74) আকবরের রাজত্বকালে দুজন ঐতিহাসিকের নাম উল্লেখ করো ?
ANS: আবুল ফজল ও বাদায়ুনি
75) মুঘল যুগের দুজন ইউরোপীয় পর্যটক এর নাম লেখ ?
ANS: টেভার্নিয়ে ও বার্ণিয়ে
76) আকবর প্রতিষ্ঠিত ধর্মসভা গৃহের নাম কি ?
ANS: ইবাদৎখানা
77) আকবরের সভাকবি কে ছিলেন ?
ANS: বীরবল
78) আকবরের রাজসভায় খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ কে ছিলেন ?
ANS: মিঞা তানসেন
79) জাহাঙ্গীর কোন শিখ গুরুর প্রাণ দেন ?
ANS: পঞ্চম শিখ গুরু অর্জুনমল বা অর্জুন ।
80) জাহাঙ্গীর এর পূর্ব নাম কি ?
ANS: সেলিম
81) তাজমহল কে নির্মাণ করেন ?
ANS: সম্রাট শাহজাহান
82) ময়ূর সিংহাসন কে নির্মান করেন ?
ANS: শাহজাহান
83) ওরঙ্গজেব কি উপাধি নেন ?
ANS: আলমগীর
84) ওরঙ্গজেব কত সালে মারা যান ?
ANS: 1707 খ্রিস্টাব্দে (আহমদনগরে)
85) শিখদের দশম ও শেষ গুরু কে ?
ANS: গুরু গোবিন্দ সিং
86) বান্দা বৈরাগীকে ?
ANS: গুরু গোবিন্দের উত্তরসূরি ও শিখ বিদ্রোহের নেতা যিনি সম্রাট ফারুকশিয়ারের আদেশে নৃশংসভাবে নিহত হন (1716 খ্রিস্টাব্দে)
87) কত খ্রিস্টাব্দে শিবাজীর রাজ্যভিষেক হয় ?
ANS: 1674 খ্রিস্টাব্দে (রায়গড়ে)
88) মারাঠা শক্তির প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: শিবাজী
89) শিবাজী কি কি উপাধি গ্রহণ করেছিলেন ?
ANS: 'ছাত্রপতি' ও 'গো ব্রাহ্মণ প্রজাপালক'
90) পুরন্দরের সন্ধি 1665 খ্রিস্টাব্দে কাদের মধ্যে হয়েছিল ?
ANS: শিবাজী ও ওরঙ্গজেব এর পক্ষে জয়সিংহের মধ্যে
91) কোন সালে শিবাজী দেহত্যাগ করেন ?
ANS: 1680 খ্রিস্টাব্দে
92) শিবাজী প্রবর্তিত রাজস্বের নাম লেখ ?
ANS: চৌথ ও সরদেশমুখী
93) শিবাজীর অশ্বারোহী বাহিনীর নাম কি ছিল ?
ANS: 'বর্গী' ও 'শিলাদার'
94) কালিকট বন্দরে কোন পর্তুগিজ নাবিক প্রথম আসেন ?
ANS: ভাস্কো-ডা-গামা
95) হজরত মুহাম্মদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন ?
ANS: 570 খ্রীষ্টাব্দে
96) ফিরোজ তুঘলকের আত্মজীবনীর নাম কি ?
ANS: ফুতুয়াৎ- ই - ফিরোজশাহী ।
97) মাহুয়ান কে ছিলেন ?
ANS: ভারতে আগত চিনা দোভাষী ও পর্যটক
98) নিকোলো কন্টি কে ছিলেন ?
ANS: ইটালির অন্তর্গত ভিনিশীয় পর্যটক
99) সুলতান মাহমুদ সম্পর্কে জানা যায় এমন একটি গ্রন্থের নাম লেখ ?
ANS: উতবি রচিত কিতাব উল ইয়ামিনি
100) সুলতানি আমলে আগত দুজন পর্তুগিজ পর্যটক এর নাম লেখ ?
ANS: নুনিজ ও পায়াস
101) আমির খসরু কে কেন ভারতের তোতা পাখি বলা হয় ?
ANS: তার কবিত্ব শক্তির জন্য
102) কোন গ্রন্থ থেকে ইলতুৎমিসের রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা যায় ?
ANS: হাসান নিজামীর লেখা তাজ-উল-মাসির গ্রন্থ থেকে ।
103) মামুদ কে ছিলেন ?
ANS: সুবক্তগিনের পুত্র ও গজনীর সুলতান ?
104) মামুদ কতবার ভারত আক্রমণ করেন ?
ANS: 17 বার (1000 খ্রিঃ থেকে 1027 খ্রিঃ পর্যন্ত)
105) সুলতান মামুদের শেষ অভিযান কখন হয়েছিল ?
ANS: 1027 খ্রিস্টাব্দে
106) মামুদ কত সালে সোমনাথের মন্দির লুণ্ঠন করেন ?
ANS: 1025 খ্রিঃ থেকে 1026 খ্রিঃ
107) সুলতান মাহমুদের সঙ্গে কোন তুর্কি পন্ডিত ভারতে আসেন ?
ANS: পন্ডিত অলবেরুনি
108) 'গাজি' ও 'বাৎশিকান' উপাধি কে গ্রহণ করেছিলেন ?
ANS: মামুদ
109) মুহাম্মদ ঘোরির প্রকৃত নাম কি ?
ANS: শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ
110) আইবক কথার অর্থ কি ?
ANS: ক্রীতদাস
111) কোন সুলতান নিজেকে 'খলিফার' সেনাপতি রূপে অভিহিত করেন ?
ANS: ইলতুৎমিস
112) মধ্য এশিয়ার অন্তগর্ত খিবার কোন শাসক চেঙ্গিস খাঁর তাড়া খেয়ে ইলতুৎমিশের শরণাপন্ন হন ?
ANS: শাহ জালালউদ্দিন মাঙ্গাবরনী
113) ইলতুৎমিসের পর কে সিংহাসনে বসেন ?
ANS: প্রথমে কিছুকালের জন্য তার পুত্র আরাম শাহ এর পরে কন্যা রাজিয়া
114) দিল্লির প্রথম মহিলা শাসক কে ছিলেন ?
ANS: সুলতানা রাজিয়া
115) গিয়াসউদ্দিন বলবনের আমলে বাংলায় কে বিদ্রোহ করেন ?
ANS: তুঘ্রিল খাঁ
116) আলাউদ্দিন খলজির পুত্রের নাম কি ?
ANS: খিজির খাঁ
117) আলাউদ্দিন খলজির মেবার আক্রমণের সময় সেখানকার রানা কে ছিলেন ?
ANS: রতন সিংহ
118) পদ্মিনী কে ছিলেন ?
ANS: মেবারের রানা রতন সিংহের স্ত্রী
119) কোন সুলতান রেশনিং ব্যবস্থা বা মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেন ?
ANS: আলাউদ্দিন খলজী
120) আলাই দরওয়াজা কে নির্মাণ করেন ?
ANS: আলাউদ্দিন খলজী
121) খলজি বংশের শেষ সুলতান কে ?
ANS: কুতুব উদ্দিন মোবারক (1316-20)
122) তুঘলক বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: গিয়াসউদ্দিন তুঘলক
123) মহম্মদ বিন তুঘলকের প্রকৃত নাম কি ?
ANS: জুনা খাঁ
124) ইবন বতুতা কোন সুলতানের সময় ভারতে আসেন ?
ANS: মহম্মদ বিন তুঘলকের আমলে
125) তুঘলক বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক কে ?
ANS: মহম্মদ বিন তুঘলক
126) মহম্মদ বিন তুঘলকের সময় দক্ষিণ ভারতের কোন স্বাধীন হিন্দু রাজ্য গঠিত হয়েছিল ?
ANS: বিজয়নগর রাজ্য
127) তুঘলক বংশের শেষ সুলতান কে ?
ANS: নাসিরুদ্দিন মামুদ (মাহমুদ শাহ তুঘলক)
128) সুলতানি যুগের আকবর কাকে বলা হয় ?
ANS: ফিরোজ তুঘলক কে
129) কে বাংলায় ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠা করেন ?
ANS: শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ (1342 খ্রিঃ)
130) হুসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠা কে ?
ANS: আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
131) সঙ্গম বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন ?
ANS: দ্বিতীয় দেবরায়
132) আদিনা মসজিদ কে নির্মান করেন ?
ANS: সিকন্দার শাহ
133) " মনসামঙ্গল " কাব্য কে রচনা করেন ?
ANS: কবি বিজয় গুপ্ত
134) 'আলগিরনামা' কে রচনা করেন ?
ANS: মির্জা মহম্মদ কাজিম
135) বাবরের মাতার নাম কি ?
ANS: কতুল নিগার খানুম
136) বাবরের পিতার নাম কি ?
ANS: ওমর শেখ মির্জা
137) কখন কাদের মধ্যে ঘর্ঘরার যুদ্ধ হয়েছিল ?
ANS: 1529 খ্রিস্টাব্দে বাবর এবং বাংলা-বিহারের সম্মিলিত আফগান শক্তিসমূহের মধ্যে
138) বাবরনামা কে ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেন ?
ANS: পায়ান্দা খাঁ ও আবদুর রহিম খানু খানান
139) হুমায়ুন কথার অর্থ কি ?
ANS: ভাগ্যবান
140) শের খাঁ কার গৃহ শিক্ষক ছিলেন ?
ANS: বিহারের শাসনকর্তার পুত্র জালাল খাঁ র
141) হুমায়ুন শেরশাহ কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ?
ANS: সিন্ধু দেশের অমরকোটে
142) আকবরের মাতার নাম কি ?
ANS: হামিদা বানু
143) আকবরের ধাত্রীমাতা কে ছিলেন ?
ANS: মহাম অনাঘা
144) বৈরাম খাঁ কে ছিলেন ?
ANS: আকবরের অভিভাবক
145) আকবরের রাজস্ব মন্ত্রী কে ছিলেন ?
ANS: রাজা টোডরমল
146) মালিক অম্বর কে ছিলেন ?
ANS: আহমদ নগরের বিখ্যাত উজির ও সেনাপতি
147) নুরজাহানের প্রকৃত নাম কি ?
ANS: মেহেরুন্নিসা
148) নুরজাহান কথার অর্থ কি ?
ANS: জগতের আলো
149) রামচরিত মানস কে রচনা করেন ?
ANS: তুলসীদাস
150) অর্জুমন্দ বানু কে ছিলেন ?
ANS: নুরজাহানের ভ্রাতা আসিফ খানের কন্যা । পরবর্তীকালে তিনি শাহজাহানের বেগম মমতাজ হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন
151) শাহজাহানের চার পুত্রের নাম কি ?
ANS: দারাশিকো, সুজা, ওঔরঙ্গজেব ও মুরাদ
152) ওরঙ্গজেব কোন শিখ গুরুর প্রাণদণ্ড দেন ?
ANS: শিখদের নবম গুরু তেগবাহাদুর
153) পেশোয়া কাকে বলা হয় ?
ANS: মারাঠাদের প্রধানমন্ত্রী কে
154) আলবুকার্ক কে ছিলেন ?
ANS: ভারতে পর্তুগিজ বাণিজ্য কেন্দ্র গুলি শাসনকর্তা
155) কে কলকাতা নগরী প্রতিষ্ঠা করেন ?
ANS: ইংরেজ বণিক জব চার্ণক (1690 খ্রিস্টাব্দে )
156) ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ কখন প্রতিষ্ঠিত হয় ?
ANS: 1700 খ্রিস্টাব্দে
157) ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের নামকরণ কিভাবে হয় ?
ANS: ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামানুসারে
158) মাদ্রাজে ইংরেজদের দুর্গের নাম কি ছিল ?
ANS: ফোর্ট সেন্ট জর্জ
159) মুঘল দরবারে কি কি গোষ্ঠী ছিল ?
ANS: ইরানি, তুরানি ও হিন্দুস্থানী
160) সৈয়দ ভাতৃদ্বয়ের নাম কি ?
ANS: সৈয়দ হোসেন আলী খান ও সৈয়দ আব্দুল্লাহ খান
161) নাদির শাহ কখন ভারত বর্ষ আক্রমণ করেন ?
ANS: 1739 খ্রিস্টাব্দে
162) নাদির শাহের ভারত আক্রমণ কালে মুঘল সম্রাট কে ছিলেন ?
ANS: মহম্মদ শাহ
163) হায়দ্রাবাদের নিজাম বংশের প্রতিষ্ঠা কে ছিলেন ?
ANS: নিজাম-উল-মলক আসফজা
164) মুর্শিদাবাদ শহরের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: মুর্শিদকুলি খাঁ
165) অযোধ্যা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
ANS: সাদাৎ খাঁ
166) শিখ ধর্মের প্রবর্তক কে ?
ANS: গুরু নানক
167) সর্বশেষ পেশোয়া কে ?
ANS: দ্বিতীয় বাজিরাও
168) তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ কত সালে কাদের মধ্যে হয় ?
ANS: 1761 খ্রিস্টাব্দে আহমদশাহ আব্দালি ও মারাঠাদের মধ্যে
169) বাংলায় স্বাধীন নবাবী কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
ANS: মুর্শিদকুলি খাঁ (1717 খ্রিঃ - 1727 খ্রিস্টাব্দে)
170) মুর্শিদকুলি খাঁর পূর্ব নাম কি ছিল ?
ANS: মহম্মদ হাদি
লেবেল