মানবদেহের সফলভাবে বসানো হলো শূকরের হৃদযন্ত্র । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক । আমেরিকার বাল্টিমোর শহরে ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলে 57 বছর বয়সে ডেভিড বেনেট নামে এক ব্যক্তির শরীরে একটি শূকরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ।
মানবদেহে সফলভাবে বসানো হলো শূকরের হৃদযন্ত্র
বেশ কয়েক মাস যাবত হার্ট - লাং বাইপাস মেশিনের সাহায্যে বেসেছিলেন বেনেট । অন্য কোন ভাবে তাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয় । এই বিবেচনায় আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন 2021 এর 31 শে ডিসেম্বর এই অদ্ভুতপূর্ব অঙ্গ সংস্থাপনের অনুমতি দেয় । সাথে জানুয়ারি অপারেশনটি করেছেন বাটলে গ্রিফিথ । অস্ত্রোপচারের তিনদিন পর হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে আগামী দিনে তার শরীর কেমন থাকবে তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি তবে সেরে উঠেছেন বেনেট ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক
বিশ্বে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে এই ঘটনা নতুন দরজা খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা । শুধু আমেরিকাতেই 1.1 লক্ষ মানুষ নতুন হৃদযন্ত্র সংস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছেন । কিন্তু যোগান খুবই কম । অপেক্ষারত অবস্থাতেই প্রতি বছর মারা যান গড়ে 6 হাজার রোগী । সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকলে এই হিসেবটা পাল্টে যেতে পারে । বর্তমানে মানবদেহে শূকরের হার্টের ভালভ ( যা রক্তকে শুধু একমুখী বইতে দেয় ) ব্যবহার করা হয়ে থাকে । পোড়া ক্ষতে বসানো হয় শূকরের চামড়া । কিন্তু গোটা হৃদযন্ত্র বসানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা ছিল । মানবদেহের পক্ষে সেটি আদৌ গ্রহণীয় হবে তো । সেই আশঙ্কা থেকেই বেনেটের ক্ষেত্রে একটি জেনেটিক্যালি মডিফাইড শুকর নেয়া হয় । অঙ্গদান এর আগে এর জিনে মোট দশটি পরিবর্তন ঘটানো হয় । মানুষের শরীরে বসালে প্রত্যাখ্যানের কারণ হতে পারে । এমন তিনটি জিনকে বাদ দেওয়া হয়, আবার 6 টি জিন নতুন করে ঢোকানো হয় । প্রস্তুতি পর্বের এই কাজটি করেছে ভার্জিনিয়ার জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা 'রিভাইভিকর' ।
শেষ খবর অনুযায়ী ৮ মার্চ সব পরীক্ষা ব্যর্থ করে মারা যান ডেভিড
লেবেল