ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা (Judiciary)

 

Indian Judicial System

উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রধান তিনটি স্তম্ভ শাসন বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগ । শাসন বিভাগের থেকে বিচারবিভাগের পৃথকীকরণ এবং ক্ষমতা, এক্তিয়ার ও কর্তৃত্বের নিরিখে আইনসভা ও বিচার বিভাগের স্বতন্ত্র অবস্থান ও সক্রিয়তা এই দুটি প্রধান লক্ষ্যকে সম্মুখে রেখে পরিকল্পিত হয়েছে ভারতের বিচার ব্যবস্থা । বিচার বিভাগের স্বাধীনতা যাতে অক্ষুন্ন থাকে তারপ্রয়াস প্রতিবিম্বিত হয়েছে ভারতের বিচার বিভাগের গঠনতন্ত্রে । ভারতীয় বিচারব্যবস্থার গঠন ও কার্যকারিতা সংক্রান্ত বিষয়গুলি ( ক. মৌলিক অধিকারের রক্ষক রূপে বিচার বিভাগের ভূমিকা, খ.  বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা, গ. বিচারবিভাগীয় পুনর্বিবেচনা, ঘ.  সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের পদ্ধতি)  রচিত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুসরণে ।


ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় মূল বৈশিষ্ট্য 

         ভারতের বিচার ব্যবস্থা অখণ্ড বিচারব্যবস্থা, অর্থাৎ শাসন বিভাগ যেমন দুটি - কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার এবং আইনসভা যেমন দুপ্রকার -  কেন্দ্রীয় আইনসভা ও রাজ্য আইনসভা , বিচারব্যবস্থার গঠন কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য এই দুই প্রেক্ষাপটে দ্বিখন্ডিত নয় । সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্যর হাইকোর্টসমূহ, ইউনিয়ন টেরিটোরির জুডিশিয়াল কমিশনারের আদালত,  সেশন জজকোর্ট, প্রেসিডেন্সি কোর্ট ( বড় বড় শহরে ) অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্ট থেকে শুরু করে ছোট বড় সকল আদালতেই সেই অখন্ড বিচার বিভাগের বিভিন্ন অংশ ।


ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা 

সুপ্রিম কোর্ট

(ক) সংবিধানের ১২৪ (1) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আরো ২৫ জন বিচারপতি থাকেন । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি যেমন প্রয়োজন মনে করেন সেই মতো সুপ্রিম কোর্টের এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের সাথে আলোচনা করেন । সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পরামর্শ মেনে চলতে বাধ্য ।

(খ) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়স ৬৫ বছর । অসদাচরণ বা প্রমাণিত অসমর্থ্যের অভিযোগ সংসদের উভয় কক্ষে উপস্থিত ও ভোটদান কারী সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থনের পাস হলে রাষ্ট্রপতি কোন বিচারককে পদচিত্ব করতে পারেন । আজ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কোন বিচারপতিকে করা হয়নি ।  

(গ) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সংখ্যা নির্ধারণের অধিকার -  সংসদের । 

(ঘ) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নূন্যতম যোগ্যতা 


1) ভারতীয় নাগরিক হতে হবে (2) তাকে কোন একটি হাইকোর্টে বা পর পর দুটি বা তার বেশি হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে অন্তত পাঁচ বছর কাজ করতে হবে, অথবা (3) দশ বছর কোন একটি হাইকোর্টে বা দুটি বা তার বেশি হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট হিসাবে আইন ব্যবস্থা করতে হবে, অথবা (4) রাষ্ট্রপতির মতানুসারে একজন বিচক্ষণ আইনগ্য হতে হবে [124(3) নং অনুচ্ছেদ] 


(ঙ) অস্থায়ী ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ - সুপ্রিম কোর্টে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ করা যায় । কোরাম (আদালতের অধীন মামলা গুলির বিচারকার্য চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিচারকের সংখ্যা) না থাকলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি সম্মতির ভিত্তিতে অস্থায়ী বিচারপতিদের প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য নিয়োগ করতে পারেন । সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসাবে কাজ করার যোগ্যতা সম্পন্ন হাইকোর্টের বিচারককেই সুপ্রিম কোর্টের অস্থায়ী বিচারক রূপে নিয়োগ করা যায় । 


(চ) সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্ষেত্র -   প্রধান ধর্ম অধিকরণ এর কার্যক্ষেত্র কে মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায় যেমন - 

(১) মূল অভিক্ষেত্র ( original Jurisdictions) -  এমন কতগুলি মামলা আছে যেগুলি অন্য কোন আদালতে উত্থাপন করা যায় না, কেবলমাত্র সুপ্রিম কোর্টের মূল অধিক্ষেত্রেই উত্থাপিত হয় এবং নিষ্পত্তি করা যায়। এগুলি হল - (ক) কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একবার একাধিক রাজ্যের বিরোধ,  (খ) কেন্দ্রীয় সরকার এবং এক বা একাধিক সরকারের সাথে বিবদমান একবার একাধিক রাজ্য সরকারের বিরোধ , (গ) একদিকে এক বা একাধিক রাজ্য সরকারের সাথে অন্যদিকে একবার একাধিক রাজ্য সরকারের মতবিরোধ, (ঘ) রাষ্ট্রপতি অথবা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিরোধ ।


(২) আপিল এলাকা (Appellate Jurisdiction) -  সুপ্রিম কোর্টে চার ধরনের আপিল করা যায়,  (১) ভারতীয় সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আপিল- দেওয়ানী ফৌজদারি অথবা অন্য কোন মামলায় হাইকোর্ট যদি প্রমাণপত্র দেয় বা সুপ্রিম কোর্ট যদি মনে করে যে মামলাটির সঙ্গে সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত প্রশ্ন জড়িয়ে আছে, তাহলে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যায়, (২) দেওয়ানী আপিল - কোন দেওয়ানী মামলায় হাইকোর্ট যদি এই মর্মে প্রমাণপত্র দেয় যে মামলাটির সঙ্গে আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত তাহলে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যায়, (৩) ফৌজদারি আপিল - ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে তিন ধরনের আপিল করা যায় । যেমন - (ক) নিম্ন আদালতে নির্দোষ বলে প্রমাণিত কোন ব্যক্তিকে যখন হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড দেয় । (খ) নিম্ন আদালতে বিচার চলাকালীন কোন মামলাকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে হাইকোর্ট যদি কোন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং (গ) হাইকোর্ট যদি এই মর্মে প্রমাণপত্র দেয় যে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে আপিলযোগ্য, (ঘ) বিশেষ অনুমতির মাধ্যমে আপিল - ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে ভারতের যেকোনো আদালতের যে কোন রায় আদেশ ও দন্ডের বিরুদ্ধে ( সামরিক আদালত ও ট্রাইবুনাল ছাড়া) আপিল করার বিশেষ অনুমতি সুপ্রিম কোর্ট দিতে পারেন।


(৩) পরামর্শদাতা এলাকা - সংবিধানের ১৪৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন সংক্রান্ত প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইতে পারেন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যে পরামর্শ প্রদান করবে সেটি অনুসরণ করা রাষ্ট্রপতির জন্য বাধ্যতামূলক নয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ রাষ্ট্রপতি মানতেও পারেন আবার নাও মানতে পারেন এবং রাষ্ট্রপতি পরামর্শ চাইলে তবে সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দেবে । কোন বিষয়ে, তা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃ প্রণোদিত  হয়ে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারে না।  


(৪) মৌলিক অধিকার ভঙ্গের ক্ষেত্রে নির্দেশ, আদেশ, লেখ ইত্যাদি জারির ক্ষমতা -  ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্ট বন্দী প্রত্যক্ষীকরণ, পরমাদেশ, প্রতিষেধ, অধিকার পৃচ্ছা, উৎপ্রেষণ এই পাঁচটি ধরনের নির্দেশ, আদেশ বা লেখ জারি করতে পারে । 


ভারতের বিচার ব্যবস্থায় হাইকোর্টের ভূমিকা 

হাইকোর্ট

বর্তমানে ভারতে মোট ২৫ টি হাইকোর্ট আছে । ভারতের আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ২৮ টি অঙ্গরাজ্যের প্রত্যেকটি কোন না কোন হাইকোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত । বেশ কিছু হাইকোর্টের অধীনে একাধিক রাজ্য আছে (যেমন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা - এই দুটি রাজ্য এবং চন্ডিগড় নামক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি একই হাইকোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত ) । কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে একমাত্র দিল্লির নিজস্ব হাইকোর্ট আছে। হাইকোর্ট রাজ্যর সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এবং দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় । 

                  হাইকোর্টে একজন প্রধান বিচারপতি থাকেন । প্রধান বিচারপতি ছাড়া হাইকোর্টের আরেকজন বিচারপতি থাকবেন সেই সংখ্যাটি প্রত্যেকটি হাইকোর্টের ক্ষেত্রে আলাদা এবং এই সংখ্যাটি রাষ্ট্রপতি নির্ধারণ করেন । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য র রাজ্যপালের সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে নিয়োগ করেন । প্রধান বিচারপতি ছাড়া হাইকোর্টের অন্য বিচারপতিদের নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করেন । 

                হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং অন্য বিচারপতিদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল । হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়স ৬২ বছর । অবসর গ্রহণের আগেই হাইকোর্টের বিচারপতিদের পদযুক্ত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি, সংসদের সুপারিশে। 


বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষার সাংবিধানিক বিধি ব্যবস্থা ।


(ক) বিচারকদের বেতন ও ভাতা ভারতের সঞ্চিত তহবিলের উপর ধার্য এবং তা সংসদের অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল নয় ।

(খ) বিচারকদের কার্যকালে তাদের বেতন ও ভাতা হ্রাস করা যায় না ।

(গ) বিচারকদের অপসারণের পদ্ধতি জটিল এবং সহজসাধ্য নয় । কেবলমাত্র প্রমাণিত অসমর্থ অথবা অশোদাচরণের অভিযোগের ভিত্তিতে পদচ্যুতির প্রস্তাব যদি সংসদের উভয় কক্ষে মোট সদস্যের অধিকাংশ এবং উপস্থিতি ভোট দানকারী সদস্যের দুই-তৃতীয় অংশের দ্বারা সমর্থিত হয় তাহলে তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট বিচারপতি কে পদচ্যুত করতে পারেন । 

(ঘ) বিচারপতিদের বিচার বা ঘোষিত রায়ের কোন সমালোচনা করা যাবে না এবং সেটি করা হলে তাকে আদালত অবমাননা রূপে গণ্য করা হবে যা আইনত দণ্ডনীয় ।

(ঙ) কোন বিচারপতির বিরুদ্ধে ইনপিসমেন্টের প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার ঘটনা ব্যতিরেকে কোন বিচারকের আচরণ সংক্রান্ত কোনো আলোচনা করা যাবে না সংসদের অথবা রাজ্য - আইনসভায় ।


ভারতের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিগত পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর 

1) মহাধর্মিকরণের বিচারপতিদের অবসরের বয়স কত বছর ?

ANS:  ৬৫ বছর 

2) কত বছর বয়স পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতিরা সপদে বহাল থাকেন ?

ANS:  ৬২ বছর 

3) সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আর কতজন বিচারপতি থাকেন ? 

ANS:  ২৫ জন 

4) কোন ভারতীয় নাগরিককে দেশের সর্বোচ্চ আদালত মৃত্যুদণ্ড দিলেও কে তাকে ক্ষমা করতে পারেন ?

ANS:  রাষ্ট্রপতি 

5) কোন মামলায় সর্বোচ্চ আদালত এই মর্মে রায় দান করে - যে সংসদ ভারতীয় সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন করতে পারবে না ?

ANS:  কেশবানন্দ ভারতী মামলা 

6) শাসনতন্ত্রের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা করার অধিকারী কে ?

ANS:  সুপ্রিম কোর্ট 

7) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে নিয়োগ করেন কে ?

ANS:  রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে ।

8) সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকা বলতে কি বোঝায় ?

ANS:  ভারত সরকার এবং এক বা ততোধিক রাজ্যর মধ্যে অথবা একদিকে ভারত সরকার এবং এক বা ততোধিক রাজ্য বনাম এক বা ততধিক রাজ্য এবং দুই ততোধিক রাজ্যের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার ।

9) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ করেন কে ?

ANS:  রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিদের সাথে আলোচনা করে ।

10) সুপ্রিম কোর্টের অধিকার আছে কোন বিষয় রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেবার যদি -

ANS:  রাষ্ট্রপতি নিজে সুপ্রিম কোর্ট কে পরামর্শ দিতে বলেন ।

11) ভারতীয় সংবিধানের যে কোন বিষয় ব্যাখ্যা করার চূড়ান্ত অধিকার আছে কার ?

ANS:  সুপ্রিম কোর্টের 

12) কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য আইনসভার মধ্যে সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা বা আইন সংক্রান্ত বিরোধী নিষ্পত্তির জন্য বিষয়টিকে বিচার ও উক্তি বিষয়টিতে রায়দানের ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টকে ভারতীয় সংবিধানের প্রদান করেছে - 

ANS:  অরিজিনাল জুড়িডিক্সান 

13) রাজ্যর প্রধান বিচারালয়ের মুখ্য বিচারপতি কে নিয়োগ করেন কে ? 

ANS:  ভারতের রাষ্ট্রপতি 

14) কোনটি ভারতের বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সত্য -

ANS:  এটি একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান 

15) মৌলিক অধিকার কার্যকর করার দায়িত্ব কোন বিচারালয়ের ?

ANS:  সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট উভয়ের 


সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

1) উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় কোন বিবাদ দেখা দিলে বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত অধিকার আছে কার ?

ANS:  সুপ্রিম কোর্টের 

2) ভারতে মোট কতগুলি হাইকোর্ট আছে ?

ANS:  ২৫ টি 

3) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কিভাবে পদযুক্ত করা যায় ?

ANS:  রাষ্ট্রপতি পদযুক্ত করতে পারেন সংসদের রেকমেন্ডেশনে ।

4) সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ রাষ্ট্রপতি - 

ANS:  মানতে বাধ্য নন ।

5) ইদানিং কালে ভারতের বিচার সংক্রান্ত ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে জনস্বার্থ মামলা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিকেশনের ধারণা এই ধারণাটি কোন দেশ থেকে ভারতে এসেছে -

ANS:  ইউ.কে থেকে 

6) ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত বিচার বিভাগীয় পুনর বিবেচনা জুডিশিয়াল রিভিউ এর ধারণা গ্রহণ করা হয়েছে কোন দেশের সংবিধান থেকে - 

ANS: USA 

7) ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারা সুপ্রিমকোর্টেকে তার পূর্ব ঘোষিত কোন রায় বা আদেশের পুনঃমূল্যায়নের অধিকার প্রদান করেছে ?

ANS:  ১৩৭ নং ধারা 

8) সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগীয় পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা হ্রাসের সংসদীয় প্রয়াস গৃহীত হয়েছিল ?

ANS:  ৪২ তম সংশোধনী 

9) কোন মামলা গুলির মধ্যে কোনটিতে রায়দানের সময় সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক কাঠামো বেসিক স্ট্রাকচার অফ দ্য ইন্ডিয়ান কনস্টিটিউশন এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন ?

ANS:  কেশবানন্দ ভারতী মামলা ।

10) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের শপথ বাক্য পাঠ করান কে ?

ANS:  রাষ্ট্রপতি 

11) সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারপতি যদি তার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার অথবা অবসর গ্রহণের আগে পদত্যাগ করতে চান, তাহলে তাকে কার কাছে পদত্যাগ পত্র প্রেরণ করতে হবে ?

ANS:  রাষ্ট্রপতি 

12) রাজ্যপাল কে শপথ বাক্য পাঠ করান কে ?

ANS:  সংশ্লিষ্ট রাজ্য যে হাইকোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত সেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ।

13) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয় কত সালে ?

ANS:  ১৯৫০ সালের সংসদীয় আইন দ্বারা ।

14) সুপ্রিম কোর্টের সভা হয় নতুন দিল্লিতে কিন্তু অন্যত্র সভা হতে পারে - 

ANS:  রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে 

15) সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বেতন ভারতের সঞ্চিত তহবিলের উপর ধার্য করা হয় এটা নিশ্চিত করতে যে - 

ANS:  বিচারকগণ নিরপেক্ষভাবে বিচার করবেন ।

16) ভারতীয় সংবিধান অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ অবসর গ্রহণের পর আইন ব্যবসা করতে পারেন না তার কারণ - 

ANS:   সুপ্রিমকোর্টে , হাইকোর্টে ও জেলা আদালতে কোন জায়গাতেই না 

17) সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত বিষয় সুপ্রিম কোর্টের -

ANS:  আপিল এলাকায় 

18) ভারতের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ কারণ - 

ANS:  সংবিধান হলো চূড়ান্ত 

19) নিম্নলিখিত কোন সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগীয় পুনর বিবেচনার ক্ষমতা হ্রাসেপ্রাপ্ত হয়েছিল ?

ANS:  ৪২ তম 

20) বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তার ধারণা ভারতে বিকশিত হয় কোন দশকে ?

ANS:  ১৯৯০ দশকে 

21) বিচারবিভাগীয় সক্রিয়তার ফলে ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছে কোন বিভাগে ?

ANS:  বিচার বিভাগের মাধ্যমে 

22) বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা ক্ষমতা ও সম্মান বৃদ্ধি করেছে কে ?

ANS:  সুপ্রিম কোর্ট 

23) আজ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের কতজন বিচারপতিকে কার্যকাল শেষ হওয়ার আগে পদচ্যুত করা হয়েছে ?

ANS:  একজনও নয় 

24) নিম্নলিখিত সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের মধ্যে কাকে কার্যকাল শেষ হওয়ার আগেই পদচ্যুত করার প্রয়াস গৃহীত হয়েছিল ?

ANS:  বিচারপতি রামস্বামী ।

25) নিম্নলিখিত কোন বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট উভয়েরই এক্তিয়ারভুক্ত ?

ANS:  মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ 

26) সংবিধানের কোন ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট নিজের দেওয়া রায় পুনর বিবেচনা করতে পারে ?

ANS:  ১৩৭ নং 

27) সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিম্নের কোনটি ভুল ?

ANS:  ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৫৫ বছর 

28) বিচার বিভাগীয় পুনর বিবেচনার ধারণা গ্রহণ সংবিধান প্রণেতাদের তাদের কাছে আবশ্যক ছিল কারণ ?

ANS:  ভারতের শাসনব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রকৃতির 

29) সুপ্রিম কোর্টে অস্থায়ী বিচারক নিয়োগ করা যায় - 

ANS:  রাষ্ট্রপতির পূর্বা অনুমতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ।

30) নিম্নের কোন উক্তিটি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সম্পর্কে সঠিক নয় ?

ANS:  রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতিগুলি রক্ষাকর্তা ।

31) সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা করার জন্য - 

ANS:  (ক)  বিচারকদের বেতন ও ভাতা ভারতের সঞ্চিত তহবিল এর উপর ধার্য (খ) বিচারকদের অপসারণ পদ্ধতিতে জটিল করেছে (গ) বিচারকদের অবসর গ্রহণের পর ভারতের কোন আদালতে তাদের আইন ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছে ।

32) সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ শপথ গ্রহণ করেন কার কাছে ?

ANS:  রাষ্ট্রপতির কাছে 

33) সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারক নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে পদত্যাগ করতে চাইলে পদত্যাগ পত্র কাকে সম্মোধন করবেন ?

ANS:  রাষ্ট্রপতি 

34) মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের জন্য হাইকোর্ট লীগ জারি করতে পারে সংবিধানের কত ধারা অনুযায়ী ?

ANS:  ২২৬ নং ধারা অনুযায়ী 

35) দুই বা ততোধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য একই হাইকোর্ট স্থাপন করা যায় কার দ্বারা ?

ANS:  সংসদ দ্বারা 

36) সাধারণত একটি হাইকোর্ট গঠিত হয় একজন প্রধান বিচারপতি এবং - 

ANS:  রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক বিচারক নিয়ে ।

37) নিম্নলিখিত কোন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির জন্য একই হাইকোর্ট আছে ?

ANS:  পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও চন্ডিগড় ।

38) হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নিযুক্ত হন কার দ্বারা ?

ANS:  ভারতের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যপালের সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি দ্বারা ।

39) হাইকোর্টের বিচারকদের নিযুক্ত করার আগে রাষ্ট্রপতি পরামর্শ করেন - 

ANS:  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যপালের সঙ্গে ।

40) হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকগণ অবসারণ গ্রহণ করেন কত বছর বয়সে ?

ANS:  ৬২ বছর বয়সে 

41) নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে হাইকোর্টের বিচারকদের রাষ্ট্রপতি পদচ্যুত করতে পারেন কিসের দ্বারা ?

ANS:  সংসদে পদচ্যুতির প্রস্তাব উপস্থিত ও ভোট দানকারী সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হলে । 

42) হাইকোর্টের বিচারকগণ পেনশন পান কোন তহবিল থেকে ?

ANS:  ভারতের আকস্মিক তহবিল থেকে ।

43) হাইকোর্টের এখতিয়ার কমানো বা বাড়ানো যায় কার দ্বারা ?

ANS:  সংসদ দ্বারা 

44) হাইকোর্টের বিচার সংখ্যা নির্ধারণ করে কে ?

ANS:  রাষ্ট্রপতি 

46) কি কারনে হাইকোর্টের কোন বিচারককে পরচক্ত করা যায় ?

ANS:  প্রমাণিত অসমর্থ্যে বা দুর্ব্যবহার 


ভারতের বিচার ব্যবস্থার কাঠামো (the structure of Indian judiciary

The Structure of Indian judiciary


হরিলাল কানিয়া

                                                              হরিলাল কানিয়াঃ

(1) হরিলাল কানিয়াঃ সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি (১৪ই আগস্ট ১৯৪৭ থেকে - ৫ই নভেম্বর ১৯৫১ সাল ) ।

মোহাম্মদ হিদায়েতুল্লা

                                                                                       মোহাম্মদ হিদায়েতুল্লা

(2) মোহাম্মদ হিদায়েতুল্লাঃ  সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মুসলিম প্রধান বিচারপতি (ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ থেকে ডিসেম্বর 1970)  তিনি একমাত্র প্রধান বিচারপতি যিনি অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন (20 জুলাই - ২৪ শে আগস্ট ১৯৬৯, যখন তদানীন্তন উপরাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য পদত্যাগ করেন ) । পরে হিদায়েতুল্লা উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন (1979 - 1948) ।


lila Seth

লীলা সেঠ

(3)  লীলা সেঠঃ  প্রথম মহিলা যিনি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন । ১৯৯১ সালে তিনি হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন ।

KG BALA KRISHNA

কেজি বালাকৃষ্ণানঃ 

(4) কেজি বালাকৃষ্ণানঃ  সুপ্রিম কোর্টের প্রথম দলিত প্রধানবিচারপতি ।